সাঈদ হত্যাকাণ্ড : ১মাসেও ধরা পড়েনি ওলামালীগ নেতা মাসুম
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৬:১৪,অপরাহ্ন ১১ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যায় জড়িত পলাতক ওলামা লীগ নেতা মাসুমকে এক মাসেও ধরতে পারেনি পুলিশ। শনাক্ত হয়নি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ‘লম্বা লোক’ বলে প্রকাশ পাওয়া নাম না জানা আরও একজন। গতকাল শুক্রবার খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিলেট নগরের রায়নগরের বাসিন্দা মতিন মিয়ার ছেলে ও রাজনগরের হাজি শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) গত ১১ মার্চ অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা ওই দিনই পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ১৪ মার্চ রায়নগরের পার্শ্ববর্তী কুমারপাড়ার ঝরণারপাড় মহল্লায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মতিন মিয়া কোতোয়ালি থানায় ধরা পড়া তিনজন ও অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এবাদুরের বাড়ি জকিগঞ্জে। ২০১০ সাল থেকে তিনি মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ ছিলেন বিমানবন্দর থানায়। সাঈদের পরিবারের সঙ্গে এবাদুর পূর্বপরিচিত ছিলেন। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশকে দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই রাতেই জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম তালুকদার ওরফে রাকীব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত ‘সোর্স’ হিসেবে পরিচিত গেদা মিয়াকে আটক করে পুলিশ। রাকীবের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগরে। গেদা রায়নগরের পার্শ্ববর্তী কুমারপাড়ায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ১৫ মার্চ এবাদুর ও পরদিন রাকীব আদালতে জবানবন্দি দেন। ২২ মার্চ আদালতে জবানবন্দি দেন গেদা। তিনজনই অপহরণ ও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। টাকার জন্য অপহরণ ও পরে চিনে ফেলায় হত্যা করা হয় বলে স্বীকার করেন তাঁরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা পলাতকদের ধরার চেষ্টা করছি।’
শোকে পাথর সাঈদের পরিবার: সাঈদের বাবা মতিন মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাসিলা গ্রামে। গৃহস্থ পরিবার, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য নগরের রায়নগর দর্জিবন্দ এলাকার বাসায় বসবাস করছেন। সাঈদের মামাসহ নিকটাত্মীয় প্রবাসী। সাঈদহীন পরিবারে এখনো চলছে মাতম। মা সালেহা বেগম থেকে শুরু করে পরিবারে কথা বলার শক্তিটুকু যেন কারও নেই।