‘সরকার শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য দমন-পীড়নের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে’
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৮:০৩,অপরাহ্ন ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এখন শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। কারণ ক্ষমতা জবরদখলকারী এই অবৈধ সরকার কোনোভাবেই জনগণকে কাছে টানতে না পেরে বিভৎস প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে।
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে তাঁর বাসা থেকে গ্রেফতার এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, বাসায় তল্লাশীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় সংসদ দখল করে, জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করে মনে করেছিল চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতার রাজদন্ড ধরে রাখবে। আর এজন্য তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত করে তাদেরকে সর্বনাশা আশকারা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমনে ব্যবহার করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে পর্যুদস্তু করার জন্য রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অবৈধ আওয়ামী সরকারের প্রিয়জনদের দিয়ে সাজিয়ে সবধরনের হিংসাত্মক অপতৎপরতা চলমান রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা আর নির্বিচারে গ্রেফতার করতে এই অবৈধ আওয়ামী সরকারের জনপ্রশাসন অত্যন্ত পারঙ্গম। কিন্তু তারা বাংলাদেশের জনগণকে স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন ভয়াবহ সংকটের মুখে। সাজানো প্রশাসন ও দুষ্কৃতিকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের পান্ডাদের দিয়েই এই ভোটারবিহীন সরকার গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যার পথ ধরে জনগণের প্রতিবাদী স্বরকে থামাতে অপচেষ্টা করা, বিরুদ্ধ মত পেশের কোনো জায়গা না রাখা এবং রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর অত্যাচার ও জুলুম অব্যাহত রেখেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, একদলীয় অপশাসনের শৃঙ্খলে গোটা দেশকেই বন্দিশালায় পরিণত করা হয়েছে। উদ্বেল মিছিলে মিছিলে সংগ্রামী জনগণ এখন শৃঙ্খল ভেঙে এই অবৈধ ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাবিলাসের যবনিকাপাত ঘটাতে ধেয়ে আসছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনায় জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দের আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান ও ইসাহাক সরকারসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের এ দাবি জানান তিনি।