সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি ও আবেদনের ফি বেড়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৪:৫৬,অপরাহ্ন ২৪ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক :: সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি ও ভর্তি আবেদন ফি বেড়েছে। ভর্তির আবেদন ফরমের মূল্য ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। ভর্তি ফি ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৯৫ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা জারি করা হয়।
ভর্তি ফির ক্ষেত্রে নীতিমালায় গত ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা অর্থের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা) অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১ হাজার ৩৪৫ থেকে ১ হাজার ৪৯৫ টাকা দিতে হবে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রতি বিষয় বা প্রতি পত্রে দুই ঘণ্টার জন্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত একটি পরীক্ষায় তিনটি থেকে দশটি বিষয় রয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, বরাবরের মতো এবারও রাজধানীর স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি নেওয়া হবে লটারির মাধ্যমে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর বয়স ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২০১৬ সালে ‘শিক্ষানীতি-২০১০’ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে।
দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তি করতে হবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জেএসসি/ জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুত মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির পর শূন্য আসনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভর্তি হতে পারবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাকা মহানগরী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কমিটি শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই যুক্তিসঙ্গত সময়ে সভা আহ্বান করে পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করবে। বিদ্যালয়গুলোকে ভাগ করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা আবেদনে পছন্দক্রম উল্লেখ করে দেবে।
২৪টি পুরনো প্রতিষ্ঠানসহ বর্তমানে রাজধানীতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩০টি। ঢাকার বাইরের ৩০০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে অথবা তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
এছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে ২ শতাংশ কোটা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য থাকবে ২ শতাংশ আসন। কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকলে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।