সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৩:৩০,অপরাহ্ন ০৯ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦দেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, আমরা যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত থাকব, ততদিন আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন সবাইকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সফল হব ইনশাল্লাহ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির দূত, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, রাষ্ট্রনায়ক এবং বিশ্বের নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত জনগণের মুক্তির কণ্ঠস্বর ও অনুপ্রেরণার উৎস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনসহ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানি জান্তারা তাঁকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ সাড়ে ন’মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিত্ব ও অনিশ্চিত জীবন পার করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারামুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের এদিনে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জীবন-মৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় পার হয়ে সারাজীবনের স্বপ্ন, সাধনা ও নেতৃত্বের ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মহান নেতার প্রত্যাবর্তন সকল স্তরের জনগণকে সীমাহীন আনন্দে উদ্বেলিত করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সেদিন বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনতা তাঁকে অভিবাদন জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। সে ছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একজন বাঙালিও প্রাণ থাকতে এই স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেবে না।
দেশের প্রতি জাতির পিতার যে গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ ছিল তা ইতিহাসে বিরল উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, নিজের জীবনের চেয়ে তিনি দেশকে ভালোবাসতেন। ১০ জানুয়ারির ভাষণে আমরা এর প্রতিধ্বনি পাই। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায় তা হলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য মুজিব সর্বপ্রথম তার প্রাণ দেবে।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁর অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।