‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ’
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৫:৪২,অপরাহ্ন ১৮ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস-এর প্রকাশ করা গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩টি দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪’ অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ৫ দশমিক ২৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১২৪টি দেশের তালিকার ২৩ নম্বরে।
২০১২ সালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতবছর প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৩’- এ সন্ত্রাস ও সহিংস ঘটনার বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২টি দেশের মধ্যে ৫৭ নম্বরে।
সংস্থাটির ২০১৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে ১০ স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাক, যেখানে গতবছর ৬ হাজার ৩৬২ জন নিহত হয়েছেন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতে।
ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস-এর গবেষণায় বলা হয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কারণে গত বছর ইরাকই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতবছর বিশ্বে কেবল সন্ত্রাসের প্রাবল্যই বাড়েনি, এর বিস্তারও বেড়েছে।
২০১৩ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ১৮ হাজার মানুষ, যা আগের বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি। এই এক বছরে প্রায় ১০ হাজার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়িয়ে নেই এমন ১৩ দেশও রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলগত বিদ্বেষের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির ঝুঁকিতে আছে। দেশগুলো হলো- অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরায়েল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও উগান্ডা।
ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস মনে করছে, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা-নিপীড়নের পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, দলগত সমঝোতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে। এ কারণেই ১৩ দেশের ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে সংস্থাটি।
গত বছর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যেসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তার বেশিরভাগই ঘটেছে মাত্র পাঁচটি দেশে- ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও সিরিয়ায়।
আর অধিকাংশ ঘটনার পেছনে ছিল ইসলামী স্টেট, আল কায়েদা, তালেবান ও বোকো হারামের মতো জঙ্গি সংগঠন। বেসামরিক নাগরিক ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিই এসব সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস এর নির্বাহী চেয়ারম্যান স্টিভ কিল্লেলিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, গত বছর প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল সিরিয়ার অস্থিতিশীলতা, যার শুরুটা হয় ২০১১ সালে।
“সিরিয়ার সেই অস্থিরতা এখন ইরাক ছাপিয়ে গেছে। আমাদের মনে হয়েছে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানের শুরুটা সেখানেই।”