শেখ হাসিনার পা ধরে মাপ না চাইলে কোন আলোচনা হবে নাঃ শেখ সেলিম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৭:২০,অপরাহ্ন ২০ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে মাপ না চাইলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোন আলোচনা হবে না বলে মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
শেখ সেলিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া অবরোধের নাটক করছেন। আর বলছেন আলোচনা করতে হবে। কিসের আলোচনা। কোথায় আলোচনা? শেখ হাসিনার পা ধরে মাপ চান আর বলেন- আমি ওই সময় ভুল করেছিলাম। এখন একটু আমার সাথে আলোচনা করুন। তবে করা যেতে পারে। এর আগে নয়।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর অফিস ও বাসভবনে বোমা হামলার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়রির নির্বাচন না করে ভুল করেছেন খালেদা জিয়া। আগামীতেও যদি এই ভুল করেন তবে আপনার দলের অস্তিত্ব থাকবে না। মুসলিম লীগের পরিণতি হবে। অবশ্যই বিএনপি মুসলিম লীগের নতুন সংস্করণ। কারণ তারা এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জামায়াত নির্বাচন করেনি তাই আপনিও (খালেদা) নির্বাচনে যাননি। ‘আর এখন গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন দাবি মানতে হবে। আহারে যেন মামু বাড়ির আবদার।’
খালেদা জিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘৪ তারিখ আপনি হঠাৎ করে গাট্টি-বস্তা নিয়ে অফিসে উঠেছেন। বলছেন আপনাকে আবরুদ্ধ করেছে। এই জন্য সারা দেশে অবরোধ ডেকেছেন। মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। এটা কোন গণতান্ত্রিক আন্দলোন না। আপনি যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন এর জন্য আপনার বিচার হওয়া উচিৎ।’
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে সেলিম বলেন, আপনি এক বছর আগে নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছিলেন। প্রায় দুই হাজার মানুষ মেরেছেন। পুলিশ, আনসার সদস্য এমনকি সেনাবাহিনীও হত্যা করেছেন। প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। আপনি তো চেয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনী আসবে। তারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে।
তিনি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শায়েখ আব্দুর রহমান, উলফা-তুলফা এই সরকারের কিছু করা যাবে না। বাংলাদেশে একজন ছিল সিরাজ সিকদার। ‘এখন কোথায় সেই সিরাজ সিকদারের দরাজ? একটা টিকটিকিও নাই।’