শীতে ঠোঁট ফাটায় মুক্তি মিলবে সহজেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৪:০৪,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪
লাইফ-স্টাইল ডেস্ক:: অনুভূতিতে জানান দেয়ার আগে শীতের আগমন টের পায় ত্বক। এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকে ঠোঁট। সবার আগে ঠোঁটে শুরু হয় টান টান অনুভূতি। সতর্ক না হলে চামড়া ফেটে রক্ত পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে। সৃষ্টি হয় ঠোঁটের কোণে ঘা। কথা বলতে, হাসতে, হা করে মুখে খাবার তুলতে কষ্টের আর শেষ থাকে না। তবে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু উপায়।
ভালো লিপবাম ব্যবহার
শীতে ঠোঁটকে সুরক্ষা দিতে প্রথমেই বেছে নিতে হবে ভালো মানের লিপবাম। ঠোঁট শুকানোর হাত থেকে রক্ষা করতে এটি ব্যবহার করতে হবে। যারা সব সময় বাইরে থকেন, প্রয়োজনে পকেটে বা ব্যাগে লিপবাম রাখতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ঠোঁট বেশি সময় শুকিয়ে না থাকে। এমনকি রাতে ঘুমানোর সময় এটি লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রচুর পানি পান
অনেকেই আছেন শীতে অলসতা করে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ঠোঁট ফাটার সমস্যা অনেক বেশি মাত্রায় শুরু হয় যখন দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই শীতকালেও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে দেহকে হাইড্রেট রাখুন। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
শাক-সবজি খান
আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে শীতকালীন শাক-সবজি পাওয়া যায়। শীতকালে ত্বকের থেকে ময়েশ্চরাইজার কমে গেলেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।আপনি চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারেন।প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন—ভাত, রুটি কমিয়ে দিলে দেহ, মন ও ত্বকের সতেজ ভাব এনে দেবে।টক জাতীয় ফল যেমন জলপাই, কামরাঙা, জাম্বুরা, কমলা, বড়ই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মিটায়, সাথে মুখে এনে দেবে রুচি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফল ও সবজির তুলনা নেই।
মাছের তেল
মাছের তেল বা চর্বিতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। একমাত্র মাছের তেল-চর্বি ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত।ছোট-বড় উভয় মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা ক্যান্সার, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ, আর্থ্রাইটিস রোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে। ত্বকের মসৃণতা বাড়াতে সাহায্য করে।
জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না
অনেকে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছুক্ষণ পরপরই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকেন। এই কাজটি করতে যাবেন না। এতে করে ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে যাবে এবং ঠোঁট ফাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
অলিভ অয়েল
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেও ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না। রাতে ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার অথবা অলিভ অয়েল ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমাতে হবে। এতে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।