শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক ও মোবাইল নিষিদ্ধ করতে হবে, এটা হচ্ছে প্রেমের মাধ্যম —সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৫:২৩,অপরাহ্ন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: হবিগঞ্জরে নবীগঞ্জে সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী এমপি বলেছেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার হচ্ছে শিক্ষা বান্ধন সরকার। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ সরকার সরকার ১৪ কোটি বই প্রস্তুত করেছে। আগামী কাল (১লা জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাই শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। এখনকার স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। কারণ ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইলে ও ফেসবুকে প্রেমালাপ নিয়ে ব্যস্থা থাকে। প্রেম করে বিয়ে করে সুখী হওয়া যায় না। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রেমালাপ থেকে বিরত রাখতে ফেসবুক ও মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজারস্থ সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুক্তরাজ্য নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত ৬ষ্ঠ বারের বৃত্তি প্রদান ও স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথাগুলো বলেন।
ট্রাষ্টের চেয়ারপারসন অনর উদ্দিন জাহিদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা মাহজামিন আক্তার সুমির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আবু জাহির এমপি, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য ইউকে ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারপার্সন সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ছোটন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জুল ইসলাম চৌধুরী, বিদ্যালয় গভার্ণিং বডির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী ব্যরিষ্টার আবুল কালাম, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, যুক্তরাজ্য নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম মাসুদ প্রমুখ। সভা শেষে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এডুকেশন ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে নগদ বৃত্তি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে পুরো অনুষ্ঠানেই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মঞ্চে ঘুমিয়ে কাটান। এ নিয়ে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও জনতার মধ্যে হাস্য রহস্যের সৃষ্টি হয়।