শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ব : বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৪:২৫,অপরাহ্ন ০২ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এম.পি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা, গবেষণা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার শীর্ষস্থান। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি সাধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা রয়েছে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকগণ অবদান রাখতে পারেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চার দশক পূর্তি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের দেশে’ রূপান্তরের ক্ষেত্রে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে। এশিয়ার কোনো কোনো দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রয়েছে। এবং রপ্তানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। মানুষের জীবন মান বৃদ্ধি পেয়েছে। শহর ও গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রায় ক্রমশ অগ্রসরমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, দেশ-বিদেশে রসায়ন বিভাগের ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্য অক্ষুণœ রাখার চেষ্টা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির ভাষণে ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, নতুন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুফল মানুষ ভোগ করতে পারে। দেশ ও জনগণের কাজে লাগলে, জ্ঞানের স্বার্থকতা আসে। রসায়ন বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণা দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। রসায়ন বিভাগের সভাপতি ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইলিয়াস মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান।
রসায়ন শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. কালিপদ কুন্ডু, অধ্যাপক ড. কাজী আলী আজম, অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, অধ্যাপক ড. আবদুল হাই, অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম এবং প্রাক্তন ছাত্র নূর উদ্দিন ও ড. মো. আলীকে সম্মাননা স্মারনক প্রদান করা হয়।
এরআগে সকাল দশটায় বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেন। র্যা লিটি বিভাগ থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার ঘুরে বিভাগে এসে শেষ হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।