শিক্ষক আসিফ মাহতাবের ৭ লাইনের পোস্টে ১০ বানান ভুল!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৮:৫৭,অপরাহ্ন ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প নিয়ে আলোচনা উসকে দিয়েছেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। একটি শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দিয়ে তিনি সপ্তম শ্রেণির একটি পাঠ্যবইয়ের নির্দিষ্ট পাতা ছেঁড়ার আহ্বান জানান।
মো: আবদুল্লা আল আমীন
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করেন। ওই ৭ লাইনের পোস্টে তিনি ১০টি বানান ভুল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তার পোস্টের নিচে নানা ধরনের কমেন্টও করেছেন। এতে তার শিক্ষকতার জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব
বানান ভুলের বিতর্কে পড়া পোস্টে শিক্ষক আসিফ মাহতাব লিখেছেন, ‘আমার কন্ট্রাক্ট যদি রিনিউ নাই করাহবে তাহলে আমাকে দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মিটিং, কাররিকুলাম ডেভেলপমেন্টের কাজ কেন করানো হলো?
সবচে মজার বেপার হচ্ছে আমার কোর্স রিনিউ করা হয়নি ভালো কথা, তো আমাকে দিয়ে একটা ক্লাস কেন নোয়ানো হলো?
ইমেইল ডিএক্টিভেট করেছেন ভালো কথা, কিন্তু আমি তার আগের রাতেই প্রমান রাখার জন্য আমাদের অফিসিয়াল এমাইলস যেখানে আমাকে ক্লাস দাওয়াহ হয়েছে, কাজ করানো হয়েছে সব আরেকটি ইমেইল এ সেন্ড করি।’
পোস্টটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তিনি ১০টির মতো বানান ভুল করেছেন। ভুল হওয়া বানানগুলো হলো- ‘করাহবে’, ‘ঘন্টার’, পর ‘ঘন্টা’, ‘কাররিকুলাম’, ‘সবচে’, ‘বেপার’, ‘নোয়ানো’, ‘প্রমান’, ‘এমাইলস’ ও ‘দাওয়াহ’।
কমেন্টকারীরা যা লিখেছেন
শিক্ষক মাহতাবের ওই পোস্টে আকরাম উল্লাহ পিরন নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে ঢুকলো যে এই একটি লেখাতে কয়টি বানান ভুল করলো!!!!!!’
রডিওন রাস্কলনিকভ লিখেছেন, ‘তোমার মতো গোবর ব্রেইনরে কেন যে নিছিল টিচার হিসেবে, এটাইতো তাজ্জব ব্যাপার।’
সোহেল মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘এই লোক কেমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়, এত বানান ভুল করে।’
আশরাফ আহমেদ লিখেছেন, ‘এতগুলো বানান ভুল! তিনি নাকি আবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে টিচার ছিলেন!’
চোয়াং মারমা লিখেছেন, ‘বানান ঠিক করেন…..’
সম্প্রতি একটি শিক্ষা সেমিনারে পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাইয়ের অভিযোগ তোলেন মাহতাব। এ সময় তিনি সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেন এই শিক্ষক।
এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাহতাব লেখেন, ‘আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।’