শাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রসহ ১৭ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১১:২৪,অপরাহ্ন ২১ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শিপলুর বাসায় অভিযান চালিয়ে গুলিসহ পিস্তল এবং ১৯টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শিপলুকে আটক করা
যায়নি। শুক্রবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশ কতৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে
আটক করেন। এরমধ্যে কোতয়ালি থানা পুলিশ ১২ জন এবং জালালাবাদ থানার পুলিশ ৫ জনকে আটক করেন।
আটক হওয়াদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়াও বহিরাগত কয়েকজন রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে শ্রীকান্ত দাস, জয়ন্ত
দাস, এমদাদুল হক, বেলাল আহমদ ও নাঈম আহমদের নাম জানা গেছে। বাকি ১২ জনের নাম এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার সকালে জালালাবাদ থানার এসআই শফিক বাদি হয়ে ২৫০ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে আসামী করে একটি মামলা
দায়ের করেছেন।
আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এ
সংঘর্ষে দুই পক্ষেই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বেশকিছু বহিরাগত অংশ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
সংঘর্ষের পর কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়মিত ক্লাস ও
পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই চলবে আগামী ২৫ নভেম্বর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা
রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মো. ফারুক উদ্দিন।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগের অঞ্জন গ্রুপের সাথে পার্থ
গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমন রায় নামের সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রছাত্রলীগ কর্মী মারা যায় সে
বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র।