লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ছিনতাই
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩২:৪০,অপরাহ্ন ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: টঙ্গীতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটক করে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও কয়েকটি মুঠোফোন লুটে করেছে ছিনতাইকারীরা।
শুক্রবার ভোররাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর গাজীপুরা বাঁশপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টায় রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাটা সু কোম্পানির সাবেক কর্মচারী শাহজাহান তালুকদার (৬৫)। পরে তারা রাত ২টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। অ্যাম্বুলেন্সে শাহজাহানের স্ত্রী, বোন, ভাইসহ মোট ৮ জন লাশের পাশে ছিলেন।
রাত ৩ টায় চালক ভুল করে টঙ্গীর সাতাইশ রোড অতিক্রম করে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সামনের দিকে চলে যায়। সেখান থেকে পেছনে ফিরে সাতাইশ রোডে ঢুকার জন্য গাজীপুরা বাঁশপট্টি এলাকায় মহাসড়ক অতিক্রম করতে গেলে রাম দা, ছোরাসহ অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত ৪/৫ জন ছিনতাইকারী তাদের অ্যাম্বুলেন্সটি ঘিরে ফেলে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিহতের স্ত্রী ও বোনের ৩টি স্বর্ণের চেইন, ২ জোড়া কানের দুল এবং পুরুষদের পকেট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ডেথ সার্টিফিকেটসহ মানিব্যাগ, ৩টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
নিহত শাহজাহানের ভাই রাজিব জানান, ঘটনাস্থলের কাছেই টহল পুলিশ অবস্থান করলেও তারা এগিয়ে আসেনি। ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। অ্যাম্বুলেন্সটি বাড়িতে পৌঁছার কিছুক্ষণের মধ্যেই টহল পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান আমার মোবাইল ও বড় ভাইয়ের ডেথ সার্টিফিকেট বাড়িতে ফেরত দিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় আমরা ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশে ছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছিনতাইকারীদের ধরার চেষ্টা করি। আমাদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা একটি মোবাইল সেট ও ডেথ সার্টিফিকেট ফেলে রেখে যায়। পরে আমি এগুলো নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দেই।