রাষ্ট্রের সব বিভাগ শাসন বিভাগের হাতে বন্দি: সালাহ উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২২:৩০,অপরাহ্ন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ আজ একমাত্র শাসন বিভাগের হাতে বন্দি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ। অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগে কেবল এক ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে। আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির এই মুখপাত্র এসব অভিযোগ করেন। হরতাল অবরোধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনার একদিন পর বিএনপির পক্ষে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে বিরোধী দল ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে সরকার। ফলে দেশ ও জাতি আজ রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের চুড়ান্ত শিকারে পরিণত হয়েছে। আদালতের আদেশ দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামানো যাবেনা বলে মন্তব্য করে তিনি বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্য গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের আন্দোলনকে দমনের শেষ চেষ্টা হিসেবে আদালতকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক দেওলিয়াত্বকেই স্বীকার করে নিয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আদালতের আদেশ দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কখনো স্তব্ধ করা যায়না।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, চুড়ান্ত দলীয়করণ ও বিচারক অভিশংসন আইন বিচারিক নৈরাজ্য সৃষ্টির মূল কারণ। ফলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর রসাম্যহীনতার শেষ পরিণতি ভোগ করছে জাতি। জাতীয় সংসদকে ‘বিকাশ মার্কা’ এমপিদের আড্ডাখানা মন্তব্য করে সালাহ উদ্দিন বলেন, জাতীয় সংসদ এখন জাতীয় বিষয়াদি ও আইন প্রণয়নের কেন্দ্র বিন্দু নয়; এটা এখন বিএনপি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার কেন্দ্র। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে সরকার মাত্রাজ্ঞানহীন, ঘৃন্য ও নিষ্ঠুর বাড়াবাড়ি করছে। এর পরিণাম কখনোই শুভ হবে না।
আন্দোলন অব্যহত রেখে কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচআরণ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।