রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র দিলেন বার্নিকাট
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৮:২৪,অপরাহ্ন ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এসময় তিনি দুই দেশের শক্তিশালী সম্পর্কের উপর জোর দেন।
একটি নিরাপদ ও সহিষ্ণু মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসরমান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সাড়া দিতে প্রস্তত এমন এক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য ও শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করতেও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার থেকে পাঠানো সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি জনগণের এবং একই সাথে আঞ্চলিক ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পর্ক জোরদার করার কথা বলেন বার্নিকাট।
বঙ্গভবনে এই পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা অনেক ক্ষেত্রে এভাবেই কাজ করে আসছি।
রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান। একজন মিনিস্টার-কাউন্সিলর পর্যায়ের পেশাদার উর্ধ্বতন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সর্বশেষ ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ ব্যুরোতে উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি সেনেগাল ও গিনি-বিসাউ এর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি অফিস ডিরেক্টর হিসেবে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও ভারতের নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডেপুটি পলিটিক্যাল কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ১৯৭৫ সালে লাফায়েত কলেজ থেকে স্নাতক ও ১৯৮০ সালে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরেন সার্ভিসে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছেন বার্নিকট। পাঁচবার “সিনিয়র ফরেন সার্ভিস পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড”, দু’বার “সুপিরিওর অনার অ্যাওয়ার্ড”, চারবার “মেরিটরিয়াস” ও একবার “ওয়ান গ্রুপ মেরিটরিয়াস অনার অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছেন। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ফরাসি, হিন্দি ও রুশ ভাষায় পারদর্শী।