রাজশাহীতে বেড়েছে ভূট্টা চাষ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৮:০১,অপরাহ্ন ০৪ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: রাজশাহী অঞ্চলে বিশেষ করে বরেন্দ্রভূমি ও চলনবিল এলাকায় ভূট্টা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষিরা ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিগত কয়েক বছরে চাষিরা ভূট্টার দাম ভাল পাওয়ায় অধিক পরিমাণ জমিতে ভূট্টা চাষ করছে। ভূট্টা চাষ ঝুঁকিমুক্ত। দেশে ভূট্টা চাষ বৃদ্ধির উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে এবং সরকারও এ বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চল ভূট্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ভূট্টার বহুমুখি ব্যবহার এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অধিক লাভজনক হওয়ায় এলাকায় এখন বাণিজ্যিকভিত্তিতে এই ফসলটির চাষ হচ্ছে। ভূট্টায় ভিটামিন এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ। ভূট্টা থেকে তেল করা যায়। কোলস্টোরোল ফ্রি হওয়ায় এই তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে হার্টের জন্য।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা, কৃষিবিজ্ঞানী এবং গবেষকরা গত সপ্তাহে জেলার দুর্গাপুর, চরঘাট, পরা ও গোদাগড়ি উপজেলার কৃষিভিত্তিক এলাকায় ভূট্টার প্লট পরিদর্শন শেষে এই মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের (বারি) অধীন রাজশাহী গম গবেষণা কেন্দ্র আন্তর্জাতিক ভূট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের সহায়তায় দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে।
সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তুলতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে এই অঞ্চলে ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পোল্ট্রিফিড এবং পশুখাদ্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ভূট্টা উপকারি। ৭০ ভাগ গম এবং ৩০ ভাগ ভূট্টা দিয়ে উন্নতমানের ময়দা প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভূট্টার সাথে আলুর ব্যবহার বাড়লে পুষ্টি চাহিদা ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চালের উপর নির্ভরশীলতা অনেক কম হবে।
আঞ্চলিক গম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইসরাইল হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা অঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি ও চর এলাকায় অধিক পরিমাণ জমিতে ভূট্টা চাষ করছে। উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করায় এবং উৎপাদিত ফসলের ভাল দাম পাওয়ায় চাষিরা ভূট্টা চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হযরত আলী বলেন, বীজের কোন ঘাটতি নেই। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজ রয়েছে। চাহিদা অনুপাতে চাষিদেরকে বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। তারা যথাসময়ে জমিতে বীজ বপন করছে।