রাজধানীতে মেছো বাঘের ৩ শাবক উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৯:৪৬,অপরাহ্ন ১০ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: রাজধানীর শাহবাগের কাটাবন থেকে ৩টি মেছো বাঘের (ফিসিং কেট) শাবক উদ্ধারসহ মো. সুবেল আলী (২৩) নামে ১জনকে কারাদ- দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।শনিবার দুপুরে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। কারাদ- ছাড়াও সুবেল আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।আদালত পরিচালনায় নের্তৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম আনোয়ার পাশা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-২ এর লে. কমান্ডার সাজ্জাদ রায়হান এবং এএসপি ইয়াসির আরাফাত ও বন বিভাগের প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা।ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাটাবনের ৮/৪ নম্বরের বেগম বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়ির দোতলার একটি কক্ষ থেকে ব্রিফকেসে চটের বস্তায় জড়ানো ছোট খাচাবন্দি অবস্থায় এক মাস বয়সী ৩টি মেছো বাঘের (ফিসিং কেট) শাবক উদ্ধার করা হয় এবং বন্য প্রাণী বেচাকেনার সাথে জড়িত সুবেল আলীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।তিনি জানান, এখন মেছো বাঘ প্রায় বিলুপ্তের পথে। এগুলো দেখতে অনেকটা বিড়ালের মতো হলেও আকৃতিতে বড় এবং হিংস্র। এগুলো মাছ শিকারে পারদর্শী বলে এদের ফিসিং কেট বলা হয়। এক সময় দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে এগুলো পাওয়া গেলেও নানা কারনে এখন বিলুপ্ত প্রায়। অল্প পরিমানে হলেও সিলেট অঞ্চলে এখনো এদের অস্তিত্ব টিকে আছে।দ-প্রাপ্ত সুবেদ আলী জানান, বিক্রমপুরের এক ব্যক্তির মাধ্যমে এগুলো সংগ্রহ করে গোপনে বাড়িতে রেখে বিভিন্ন ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায় বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি পশু-পাখি বেচাকেনার কাজ করছেন। কাটাবনের পশু-পাখি মার্কেটে ‘জেন এন্ড জেরা’ নামে একটি দোকানে তিনি কাজ করেন বলে জানান। তবে উক্ত দোকান মালিক মেছো বাঘের বাচ্চাগুলোর বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন।ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা আরো জানান, এর আগে সুবেল আলী ইতিপূর্বে ভাল্লুক, অজগরসহ বিভিন্ন প্রাণী গোপনে বিক্রি করেছেন বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।