রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৪:৫৮,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
রাজধানীতে ডিসিসি ও রাজউকের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। এই প্রধান দুই সংস্থার সমন্বয়ের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের প্রকৃত সংখ্যা মিলছে না। আর যে সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তথ্য রয়েছে সেগুলোর দায় দায়িত্ব নিতেও রাজী নয় সংস্থা দুটি।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে পুরান ঢাকার শাখারী বাজারে ভবন ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হলে ঢাকা সিটি করপোরেশন কারিগরি জরিপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত ও তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। ১১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই কারিগরি জরিপ শুরু করা হয়। পরে ২০০৫ সাল থেকে সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতের কাজ শুরু করে।
তবে কারিগরি সহায়তা ও অর্থের সংকুলান না হওয়ায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে এ সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক)কে চিঠিও দেয় সিটি করপোরেশন।
ঢাকার উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা প্রধান সংস্থা রাজউক রাজধানীতে মোট ৪ হাজার ৯৭টি নকশা বহির্ভূত ভবন শনাক্ত করে তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে মাত্র ৬০টি ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে । একই সঙ্গে রাজউক মোট ৩১২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে এ সব বাড়ির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে তালিকা পাঠালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানান,এক গবেষণার প্রতিবেদনে রাজধানীতে ৬৭ থেকে ৭০ ভাগ ভবনই ৭ মাত্রার স্কেলে ভূমিকম্প সহনশীল নয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৪ সালে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার এলাকায় ১১৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করি। ২০০৯ সালে পুরান ঢাকার এ সব এলাকাকে ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে রাজউক ঘোষণা করায় এসব ভবনের ব্যাপারে কিছুই করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহায়তায় কারিগরি টিম গঠন করে পুরো ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার কাজ শুরু করি। সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশায় করা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হোক বা নকশার ব্যত্যয় ঘটুক সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের।
এ ব্যাপারে রাজউকের পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী শেখ আব্দুল মান্নান বলেন, রাজউকের প্রধান দায়িত্ব ভবন নির্মাণে নকশার অনুমোদন দেবে এবং অনুমোদন দেওয়া ভবনগুলো নির্মাণ চলাকালে তা নিয়ন্ত্রণ করবে।
এ ব্যাপারে রাজউকের উন্নয়ন বিভাগের সদস্য মো. নাঈম আহমেদ খান বলেন, রাজউক এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৭টি ভবনকে শনাক্ত করেছে । এ ব্যাপারে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি আবু সাইদ এম আহমেদ বলেন,রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই রাজমিস্ত্রিদের নকশায় গড়ে উঠেছে।