রাগের মাথায় যা কখনোই করবেন না
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৬:৫৩,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৪
লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভবিষ্যতের বিড়ম্বনা এড়ানোর জন্য রাগের মুহূর্তে ধৈর্য ধরা খুবই জরুরি। রাগ আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। রাগ, সামাজিক, ব্যক্তিগত ও পেশাগত সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে। রাগের সময় ভুল এড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় যতটা সম্ভব শান্ত থাকা। রাগের সময় কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন:
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখি। আর শান্ত মস্তিষ্কেই কেবল সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে পরে পস্তাতে হতে পারে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি।
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট না করা:
রাগের সময় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনোকিছু পোস্ট করা উচিত নয়। অনেকে রাগের অনুভূতি এবং কেনো রেগে গেলেন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।এতে পরিচিতমহলে একটি নেতিবাচক ইমেজ তৈরী হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপনার মন্তব্য বন্ধুদের হতাশ করতে পারে।
৩. অন্যের ওপর রাগ ঝাড়বেন না:
রেগে গেলে তার প্রভাব চারপাশের মানুষের ওপরও পড়তে পারে। এর ফল সবসময় ভালো হয় না। অন্যের ওপর রাগ ঝাড়বেন না। মানসিক চাপ কমাতে এবং রাগ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ শ্বাস নিতে পারেন।
৪. গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন:
রাগের সময় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগের সময় মানুষ অমনোযোগী এবং আক্রমণাত্মক থাকে। এর ফলে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটানোর ঝুঁকি থেকেই যায়। গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়লে গাড়ি থামিয়ে শান্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।রাগের সময় পথচারীর রাস্তা পারাপার আপনার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
৫. অবিশ্বস্তদের সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন:
আপনার সমস্যা এবং ভেতরের সংঘাত নিয়ে বিশ্বস্তদের সাথে কথা বলুন। রাগ থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং জীবন উপভোগ করার জন্য মূল্যবান উপদেশ পেতে পারেন তাদের কাছ থেকে। রাগের সময় অবিশ্বস্তদের সঙ্গে কোনোকিছু শেয়ার করা উচিত নয়। তারা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে এবং পরে এ নিয়ে গল্প ছড়াতে পারে।
৭. কম কথা বলুন:
অ্যমব্রোস বিয়ারসি একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘রাগের সময় বেশি কথা বলুন কেননা দুঃখ প্রকাশ করার জন্য সেটাই হবে আপনার সেরা বক্তব্য’। তবে কম কথা বলাই ভালো।
৬. বদভ্যাস ত্যাগ:
রাগ ইচ্ছা শক্তিকে ভেঙে ফেলে। ধূমপান এবং অ্যলকোহল অনেক সময় আপনার মনকে বিক্ষিপ্ত করতে পারে। এ বদভ্যাস ত্যাগ করুন। শারীরিক ব্যায়াম রাগ এবং অন্যান্য খারাপ অনুভূতি তাড়াতে দারুন কার্যকরী। ব্যায়াম সেরোটোনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই হরমোন আক্রমনাত্মক ব্যবহার কমিয়ে আপনাকে শান্ত করে তোলে।
রাগ মানুষকে অসামাজিক করে তোলে এবং এর ফলে মানুষ অপরের সঙ্গ ঠিকমতো উপভোগ করতে পারেন না। রাগের সময় অন্যের সঙ্গে বেশি কথা না বলাই ভালো। এসময় স্বভাববহির্ভূত আচরণ করতে পারেন।