রংপুরের নীলফামারীতে আ’লীগ শক্ত অবস্থানে, সংগঠিত হচ্ছে বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২০:২৩,অপরাহ্ন ১৩ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগে একটি ঠাণ্ডা লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলে এলেও সামগ্রিকভাবে দলীয় কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব তেমনভাবে ফেলেনি। যদিও আওয়ামী লীগের জেলা কমিটিতে আসতে না পারা, জাতীয় পর্যায়ে বা বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মান-অভিমানের ঘটনা রয়েছে। তবুও দলীয় কর্মকাণ্ডে সবাই একমত ও অবিচল বলেই মনে হয়।
গত শাসন আমলে আওয়ামী লীগের জেলা সদর থেকে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের টেন্ডারবাজি, হাটের ইজারা নেয়া, বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কমিশন নেয়াসহ সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। এ এলাকার লোকজন এমপি ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে অত্যন্ত সাবলীল ও দলমত নির্বিশেষে কর্মব্যক্তিত্ব বলে মনে করেন। স্বাধীনতার পর জেলায় এই প্রথম মন্ত্রী পাওয়ায় গোটা জেলার মানুষ আবেগাপ্লুুত হয়ে পড়ে। জেলার ৪টি নির্বাচনী আসনই আওয়ামী লীগের দুর্গ।
অপরদিকে সাম্প্রতিক বেগম খালেদা জিয়ার নীলফামারীতে সফল জনসভার ফসল ঘরে তুলতে চায় জেলা বিএনপি। আগের দ্বিধা-বিভক্তি ভুলে গিয়ে তারা এখন সংগঠিত। বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শেষে সম্মেলনের মাধ্যমে সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখা ও নীলফামারী জেলা শাখার জেলা কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে। তবে নীলফামারী জেলা বিএনপিতে তরুণ প্রজম্মের নেতাদের আধিক্যই বেশি। বাদ পড়েছেন নীলফামারী জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহসান আহমেদ। স্বাধীনতার পর নীলফামারী জেলা বিএনপির আওতায় সংসদীয় ৩টি আসনে বিএনপি একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখা কিছুটা হলেও সফলতার ভূমিকায় রয়েছে। কারণ একটি মাত্র আসন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর- কিশোরীগঞ্জ অংশ) আসনে প্রেসিডেন্ড জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মজিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে আমজাদ হোসেন সরকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ জেলায় বিএনপির আগামী আন্দোলনের ওপর নির্ভর করছে তাদের সফলতা ও ব্যর্থতা। আর তৃণমুল পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে শুধু কমিটি গঠন নয়, সাধারণ জনগণের সঙ্গে কতটুকু সম্পৃক্ত হতে পারছে সেটাও ভাববার বিষয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞজনরা।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। কৃষকদের সারের জন্য এখন আর হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় না, জীবনও দিতে হয় না। মঙ্গাকবলিত এ অঞ্চলের মানুষকে এখন আর কর্মের জন্য ভাবতে বা খাদ্যের জন্য চিন্তায় থাকতে হয়না। দেশের জনগণও বিএনপির সঙ্গে নেই।
নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষের জীবন আজ প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। স্বৈরাচারী এ সরকার এবং তার দোসররা দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, গুম-হত্যা আর নির্যাতন চালিয়ে দেশবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। হুমকি-ধমকি, হত্যা, মামলা-হামলা চালিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না।