যৌনপল্লী থেকে যেভাবে উদ্ধার হল দিনাজপুরের অসহায় এক কিশোরী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫১:২৫,অপরাহ্ন ২৩ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
গার্মেন্টে ভাল কাজ দেওয়ার কথা বলে দিনাজপুরের অসহায় এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে ফারজানা আক্তার নামের এক নারী দালাল। সেখানে এক প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী পারভিন বেগমের ঘরে সারাদিন আটকে রেখে মেয়েটিকে যৌন কাজে নামানোর চেষ্টা চালালো হয়। তবে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তালাবদ্ধ অবস্থায় ওই ঘরের ভিতর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত ওই কিশোরীর (১৪) ( নাম প্রকাশ করা হলনা) বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার বড়াইহাট গ্রামে। তার বাবা একজন গরীব দিনমজুর। কয়েক বছর আগে তার মা মারা গেছেন। সামান্য রোজগারের টাকায় দিনমজুর বাবা তার সংসার চালাতে পারেন না। এ অবস্থায় গত ১২ জানুয়ারী একই গ্রামের ফারজানা আক্তার নামে এক নারী গার্মেন্টে ভাল কাজ দেওয়ার কথা বলে বীরগঞ্জ থেকে ওই কিশোরীটিকে ফুঁসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে কবীরপুর নামক এলাকার কোন এক ভাড়াবাসায় ৯ দিন রাখার পর বুধবার সকালে ফারজানা আক্তার মেয়েটিকে ফুসলিয়ে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে।
এ সময় পল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী পারভিন বেগমের কাছে নগদ টাকায় মেয়েটিকে বিক্রি করে নারী দালাল ফারজানা দ্রুত পালিয়ে যায়। এদিকে বাড়িওয়ালী পারভিন ওই দিন সকাল থেকে মেয়েটিকে তার এক ঘরের ভিতরে তালাব্ধ করে রেখে তাকে যৌন কাজে নামানোর চেষ্টা চালান। পরে আবদ্ধ থাকা ওই কিশোরী চিৎকার করে সে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দঘাট থানার এসআই বাশার মোল্লার নেতৃত্বে একদল পুলিশ যৌনপল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী পারভিন বেগমের একটি তালাব্ধ ঘরের ভিতর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি মো. নাসির উল্যাহ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।