যে কারনে ৫ ছেলের একজনও দেখা করলেননা কামারুজ্জামানের সাথে
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৮:২৩,অপরাহ্ন ০১ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: কামারুজ্জামান মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের সঙ্গে কারাগারে তাঁর স্ত্রীসহ আট সদস্য দেখা করলেও তাঁর ছেলেদের কেউই দেখা করেননি। কামারুজ্জামানের মোট পাঁচ ছেলে এক মেয়ে। পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে হাসান ইবালসহ তিন জন দেশে আছেন। দেশে থাকা অন্য দুই ছেলে হলেন, হাসান ইমাম ও আহমেদ হাসান। আর দুই ছেলে হাসান ইকরাম এবং হাসান জামান দেশের বাইরে আছেন।
একজন কারা কর্মকর্তা জানান,‘ কী কারণে কামারুজ্জামানের ছেলেরা দেখা করেননি তা আমাদের জানা নেই। তবে দেখা করার আবেদনের তালিকায় তাদের নাম ছিল না।’ আর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্তকর্তা জানান,‘ কামারুজ্জামানের ছেলেদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকলে গ্রেপ্তারের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।’
এদিকে, কারাগারে না যাওয়া প্রসঙ্গে একটি অনলাইন নিউজের সাথে কথা বলার সময় কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান বলেছেন, তারা মুলত নিজেদের গ্রেপ্তার এড়াতেই শনিবার কারাগারে যাননি। তবে তারা শেষ মুহূর্তে ঝুকি নিয়ে হলেও একবার দেখা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ।
হাসান আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে আমার দুই আত্মীয়কে আমাদের মিরপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই আমাদের আশঙ্কা দেশে থাকা আমাদের তিন ভাইকেও আটক করা হতে পারে। একারণেই আমরা শনিবার কারাগারে বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। আমাদের আশঙ্কা ছিল আমাদের কারাগারের গেট থেকে আমাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।’
তবে তিনি জানান,‘ যেভাবেই হোক আমরা দেশে থাকা তিন ভাই শেষ মুহূর্তে হলেও কারাগারে আমাদের বাবা কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করব।’ তবে দেশের বাইরে থাকা কামারুজ্জামানের দুই ছেলে দেশে আসবেন কী না তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, ‘বুধবার মূলত বাবা আমার মায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই কিছু পারিবারিক সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন। সেই সিদ্ধান্তগুলোই নতুন করে আলোচনার পাশাপাশি নতুন কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’
হাসান ইকবাল জানান, তার বাবা কামারুজ্জামান আগেই তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ভাগবাটোয়ার অসিহত (উইল)করে গেছেন। সেগুলোই বহাল রেখেছেন। আর যদি তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয় তাহলে তাকে তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করতে বলেছেন। ‘আর বাবার মৃত্যুর পর আমার মা-ই পরিবারের হাল ধরবেন বলে বাবা জানিয়েছেন।’