যে কারণে মোবাইল ব্যবহারে দিল্লির ‘না’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৪:৫৬,অপরাহ্ন ১৮ নভেম্বর ২০১৪
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক:: ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিরত থাকুন!’এই বার্তা দিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রণালয়। কেন এই বার্তা? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে ফোন ব্যবহারকারীদের রক্ষাই উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয়ের।
মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ, ‘মোবইল ছেড়ে ব্যবহার করুন ল্যান্ডলাইন ফোন। তবে, অবশ্যই তারযুক্ত। কেন্দ্রীয় দূর সঞ্চার মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে মোবাইল ফোন এবং মোবাইল টাওয়ার থেকে উৎপন্ন বিকিরণ যে মানবজাতি এবং সভ্যতার চরম ক্ষতি করছে। আর এই বার্তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিত কোটি কোটি টাকাও খরচ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। নয়াদিল্লির এই প্রচারে জনমনে বেশ চাঞ্চল্যও ছড়িয়ে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় দূর সঞ্চার মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে. মোবাইল সংস্থাগুলির বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) এবং মোবাইল সেট থেকে যে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড উৎপন্ন হয়, তা মানব শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই জন্য দুই বছর আগেই মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোকে বিটিএস থেকে যাতে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড কম উৎপন্ন হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। বিকিরণের মাত্রাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একই নিয়ম বর্তানো হয়েছে মোবাইল সেটের ক্ষেত্রেও।
শুধু নির্দেশিকা জারি করেও ভরসা পায়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়, তাই মোবাইল ব্যবহারকারীদের সচেতন করে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যবহার করলে ক্যানসার হয়, মস্তিষ্কের ক্ষতি করে, এমন যে সব ধরনের তথ্য প্রচলিত আছে, সেসবই মিথ। আদতে এসবের বৈজ্ঞানিক কোনও তথ্য নেই। তবে, মোবাইল টাওয়ার এবং সেট থেকে সৃষ্ট বিকিরণ মানব শরীরের পক্ষে সহায়ক নয়।
মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ, মোবাইল সেট শরীর থেকে দূরে রাখুন। হ্যান্ডসেটটি মাথা থেকে দূরে রাখতে ব্লুটুথ অথবা তারযুক্ত হেডসেট ব্যবহার করুন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি মাথার সঙ্গে লাগিয়ে রাখবেন না। কারণ, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) এনার্জি সোর্স থেকে দূরত্ব অনুসারে কম হয়। মোবাইল কলের সীমা সীমিত রাখুন।
আরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যতটা সম্ভব ভয়েস কলের পরিবর্তে এসএমএসে কথাবার্তা বলুন। রেডিও সিগন্যাল অপর্যাপ্ত হলে, মোবাইল ফোনের ট্রান্সমিশন পাওয়ার বেড়ে যায়। মোবাইল একেবারেই নয়, যদি সুযোগ থাকে তারযুক্ত ল্যান্ডলাইন ফোন ব্যবহার করুন।