যেভাবে বাংলাদেশ থেকে বিড়াল গেল লন্ডনে
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৮:১৭,অপরাহ্ন ২০ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে যাচ্ছিল স্যুটকেস, যার ভেতরে ছিল আম, আনারস ও চালে ঠাসা।তবে সুটকেসটির ভেতরে আরও একটা বিষয় ছিল, যা জানতো না কেউই। এভাবে স্যুটকেসটি বাংলাদেশ থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গিয়ে পৌঁছায় লণ্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে।
সেখানে খুলে দেখা গেল স্যুটকেসটির ভেতরে রয়েছে জলজ্যান্ত একটি বিড়াল। স্যুটকেসের ভেতর এতোটা পথ কীভাবে এলো আর জীবিত রইল সে বিষয়ে হতবাক হন অনেকেই।জানা গেছে, ইংল্যান্ডে পৌঁছে বেশ আনন্দেই দিন কাটছে বেড়ালটির। ইতিমধ্যে সে একটি নামও পেয়েছে। তাকে ডাকা হচ্ছে ম্যাঙ্গো নামে।
স্যুটকেসে বসে ফল খেয়ে বেঁচেছিল বলেই এমন নাম।ইংল্যান্ডের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, বেসিংস্টোক শহরের একটি পরিবার বাংলাদেশের এই বিড়ালটিকে দত্তক নিয়েছেন।প্রথমে বিড়ালটির দায়িত্ব নেয় ইংল্যান্ডের উইমবোর্ন শহরের ক্যাট প্রটেকশনস ফার্নডাউন হোমিং সেন্টার।
এর জন্য তারা একটি অর্থ তহবিল চালু করে। সেখান থেকেই সারাহ ল্যাসি ও ম্যাট বোনার দম্পতি বিড়ালটিকে দত্তক নেন।বেসিংস্টোকের কিংস ফারলং এলাকার একটি বাড়ি এখন বিড়ালটির স্থায়ী ঠিকানা।
ম্যাঙ্গো প্রসঙ্গে ম্যাট বোনার বলেন, ‘বিড়ালটির যুক্তরাজ্যে আসার ঘটনা জেনে অবাক হয়েছি। তার বেঁচে যাওয়া অবিশ্বাস্য। তাকে পেয়ে আমরা খুশি। সে আমাদের জন্য অনেক আনন্দ বয়ে এনেছে।’সারা বলেন, ম্যাঙ্গো বেশ বন্ধুসুলভ ও খেলা প্রিয়। এতো দূর দেশে এসেও দারুণভাবে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে সে। খেলনা মাছ তার প্রিয় খেলা।’