যেভাবে উদ্ধার হলেন বিসিএস ক্যাডার হ্যাপি
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৫:৫৮,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন বিসিএস ক্যাডার মাহমুদা আক্তার হ্যাপি (৩১)। সেখান থেকে ‘নিখোঁজ’ হন তিনি। গত চারদিন ধরে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না বন্ধু ও স্বজনরা। অবশেষে তাকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
মো. আবদুল্লা আল আমীন
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কক্সবাজার শহরের একটি কটেজ থেকে মাহমুদা আক্তার হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বজনদের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি এই তথ্য জানান।
হ্যাপির গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি ৪১তম বিসিএস ক্যাডারের সুপারিশপ্রাপ্ত। তাকে বনবিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
ওসি ওসমান গনি জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে ৭১ জনের পর্যটকের একটি দল টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়। এই দলে মাহমুদা আক্তার হ্যাপিও ছিলেন। তারা দ্বীপটির কয়েকটি রিসোর্টে উঠেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হন হ্যাপি। বিকেল গড়িয়ে গেলেও তিনি রিসোর্টে ফেরেননি।
পরে বিকেল চারটার দিকে রিসোর্টের সঙ্গীরা মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বন্ধুর সঙ্গে আছেন বলে জানান। কিন্তু এর ঘন্টাখানেক পর তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর যোগাযোগ করতে না পেরে রিসোর্টে তার সঙ্গে একই কক্ষে অবস্থানকারী বান্ধবী সুমা খানম টেকনাফ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এর সূত্র ধরে হ্যাপিকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি ট্র্যাকিং করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার এআর কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর মাহমুদা আক্তার হ্যাপির বরাতে ওসি ওসমান গনি বলেন, ওইদিন হ্যাপি সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতে গোসল করতে নেমেছিলেন। পানিতে ভেসে গেলে কিছু জেলে তাকে উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে একটি টমটমযোগে টেকনাফ হয়ে কক্সবাজার চলে আসেন তিনি।
ছাত্রী হিসেবে মেধাবী ছিলেন হ্যাপি। বিসিএস ক্যাডারে প্রশাসনে তার ইচ্ছা থাকলেও সেখানে না হয়ে বন বিভাগে হওয়ায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। তাই কক্সবাজার শহরে ফিরে তিনি কটেজে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।