যেভাবে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো বিশ্বের বড় যাত্রীবাহী বিমান (ভিডিওসহ)
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৪:২৫,অপরাহ্ন ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী এয়ারবাস এটি। যাত্রী ধারন ক্ষমতা সর্বনিম্ন ৫২৫। সর্বোচ্চ ৮৫৩ (সব ইকনোমি ক্লাস হলে)। দ্বিতল এ বিমনটি তার শরীরে সগৌরবে বহন করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন এমিরেটস এর নাম। গত ২৮ জানুয়ারী বিমানটি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টারের আকাশে উড়ছিল অনেক যাত্রী নিয়ে।
যুক্তরাজ্যের কোন কোন এলাকা তখন কয়েক ফুট জমাটবাধা তুষারের নিচে চলে গেছে। কোথাও বৃষ্টির মত ঝরছে তুষার। শুধু যুক্তরাজ্য নয় ইউরোপের অনেক দেশেই বিভিন্ন রাজ্যে তুষার ঝড়ের দুর্যোগ চলছে। তাপমাত্রা মাইনাস কয়েক ডিগ্রি। কোন কোন দেশের অনেক রাজ্যে মানুষের ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা ইউরোপের বিামন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমনতর কঠিন দুযোর্গ মুহুর্তেও কোনমতে খোলা রাখা হয়েছিল ম্যানচেষ্টার এয়ারপোর্ট। সেখানে তখন তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র এ শীতের মধ্যে চলছে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস।
বড়ই বিস্ময়কর সে আবওহাওয়ার চরিত্র। এমন সময় ম্যানচেষ্টার বিমান বন্দরের আকাশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারালাইন্সের সবচেয়ে বড় যাত্রবাহী এ বিমানের আগমনে সবার কপালে ভাজ দেখা দিল। যদিও শিডিউল আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তারপরও হঠাৎ এমন ঝড়ো হাওয়া শুরুর তেমন কোন অনুমান তাদের ছিলনা। তাই বিমানবন্দরের সবাই উৎকণ্ঠায় অস্থির।
যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল অনলাইন সেদিন এ বিমানটির অবতরনের বিবরন দিতে গিয়ে হেডলাইনে লিখেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারালাইনের বিমান যখন আকাশে বাতাসে দুলছে তখন সত্যিই একে ঝড়োহাওয়াই বলতে হয়।
বিমানটি নিচে নেমে আসতে লাগল সত্যি কিন্তু বারবার তীব্র বাতাসে তার গতি পাল্টে যাচ্ছে নির্দিষ্ট রানওয়ের দিক থেকে। কখনো কখনো বিমানটি কাত হয়ে পড়ছে একদিকে, আবার অন্যদিকে । এভাবে বিমানটি দুলতে লাগল শূন্যে। তীব্র ঝড়ো বাতাস ক্রস করে বিমানটি ভয়ঙ্করভাবে হেলে দুলে যতই নিচে নামছে এর মধ্যকার যাত্রীদের প্রাণবায়ু ততক্ষনে সবার কণ্ঠাগত। সবাই স্তব্ধ।
বিমান দুর্ঘটনায় অহরহ শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে এখন। অবশেষে একদিকে কাত অবস্থায় প্রথমে বিমানটির একদিকের একটি চাকা টারমাক স্পর্শ করল। তীব্র ঝাকুনি খেয়ে বিমানটি আবার উপরে উঠে গেল এবং বিপরিতদিকে কাত হয়ে গেল।
এরপর অপর চাকাটি টারমাক স্পর্শ করল। এরপর আবার একটু শূন্যে। এরপর আবার তীব্র ঝাকুনি খেয়ে বিমানের তিনটি চাকাই একসাথে টারমাক স্পর্শ করল।
বিমানটি রানওয়েতে শুধু কাত হয়েই অবতরন করেনি বরং বাকা অবস্থায় অবতরন করেছে এবং রানওয়ের একদিকে ছিটকে যাচ্ছিল। সোজা কথায় বিশ্বের অন্যতম বিমান ট্রাজেডির খাতায় সেদিন নাম লেখাতে যাচ্ছিল এমিরেটস। খুব অল্পের জন্য তারা সেদিন এ ট্রাজেডির দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে।