যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেন জেনারেল জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৮:৩০,অপরাহ্ন ১২ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, দেশের মানুষের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১০ জানুয়ারি এই সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ব ইজতেমার কারণে তা পিছিয়ে ১২ তারিখ করা হয়।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী । সাড়ে ৪টায় শুরু করা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৭৫-এর পর একটার পর একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। সেনা-বিমান বাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশ একটা অন্ধকারের দিকে তলিয়ে যাচ্ছিল। তখন দেশে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পালা চলছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল জিয়া। এরপরই একের পর এক খুন হতে থাকে। যে যুদ্ধপরাধীরা নির্যাতন, গণহগত্যা চালিয়েছে, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, জাতির পিতা যাদের বিচার করতে শুরু করেছিলেন জিয়া তাদের বিচার বন্ধ করে কারাগার থেকে মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সভাটি পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
এছাড়া মঞ্চে আরও উপস্থিত রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
দুপুর ২টা ৩৫ ওলামা লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হিলালী কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশ। এছাড়াও গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
এর আগে সোমবার সকালে সমাবেশের অনুমতি পায় ক্ষমতাসী আওয়ামী লীগ। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক আদেশে সকালে ঢাকায় সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।