যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড়ে জনজীবন স্থবির
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৮:২৭,অপরাহ্ন ২০ নভেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ৫০টি অঙ্গরাজ্য এখন শীতে বিপর্যস্ত। দেশটির উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিম সবস্থানেই এখন তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে রয়েছে। সমগ্র দেশ জুড়ে বরফ পড়ার পাশাপাশি বইছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়া। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ নিউইয়র্কের অবস্থা এতো বেশি বিপর্যস্ত যে, রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
তুষার ঝড় ও ঠাণ্ডাজনিত কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ছয় জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। নিউ ইয়র্কে চারজনসহ এ পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিউইয়র্ক এখন প্রায় চার ফুট তুষারে ডুবে আছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। তবে, প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ঘণ্টায় ৪০ মাইল গতিবেগের দমকা বাতাসের মধ্যে অবিরাম তুষারপাতে যুক্তরাষ্ট্রে জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকায় তুষারপাত আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
উত্তর সুমেরু থেকে ঠাণ্ডা হাওয়া প্রবেশে রেকর্ড শীত পড়ছে আমেরিকাজুড়ে। গত ৩৮ বছরে এতটা বিপর্যস্ত হয়নি মার্কিন সাম্রাজ্যকে। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গড়ে ঘণ্টায় প্রায় ১৩ সেন্টিমিটার (৫ ইঞ্চি) গতিতে তুষার পড়ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বরফ জমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় স্কুল-কলেজ এমনকি অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে এটিএম বুথগুলোর দরজাগুলোকেও বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ঠাণ্ডাজনিত কারণে নিউইয়র্ক, মিশিগান ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে ছয় জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
নিউইয়র্কের ব্যস্ততম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যাতায়াত উপযোগী করে তুলতে বরফ সরানোর মেশিন দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপনে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, মঙ্গলবার ও বুধবারের এ প্রাকৃতিক তাণ্ডব অব্যাহত থাকতে পারে বৃহস্পতিবারও।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক ও আশপাশের অঙ্গরাজ্যগুলোতে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেকটা আকস্মিকভাবে তাপমাত্রা দ্রুত নিচে নামতে থাকে। দমকা বাতাসের প্রভাবে এই মধ্য নভেম্বরেই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ১৯৭৬ সালের পর থেকে নভেম্বর মাসে আর কখনো এত শীত দেখেনি।