ম্যাচের আগে ঘুষ হিসেবে যৌনকর্মী দিয়ে রেফারিকে তুষ্ট !
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৯:৫৫,অপরাহ্ন ১৮ জানুয়ারি ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক :: এ এক অভিনব ম্যাচ ফিক্সিং৷ কোনও খেলোয়াড় কেনাবেচা নয়, কোনও অর্থের বিনিময়ও নয় ৷ ম্যাচ জেতার জন্য একেবারে রেফারিকেই হাত করে নেওয়া । তাও অবার যৌনকর্মীর বিনিময়ে । বেটিং সিন্ডিকেট শব্দটা এলেই সব থেকে আগে আসে সিঙ্গাপুরের নাম এবং এই ঘটনাও সিঙ্গাপুরে ৷
সিঙ্গাপুর যেন ফিক্সারদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে ! এরিক ডিং, সিঙ্গাপুরের একজন আলোচিত ম্যাচ ফিক্সার । ৩২ বছর বয়সী ডিং স্থানীয় এক নাইট ক্লাবের মালিক ৷ বছর দুয়েক আগে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন কাপের একটি ম্যাচে অফিশিয়াল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিন লেবানিজ রেফারি। ম্যাচে রেফারি ছিলেন আলী সাবাগ, সহকারী হিসেবে আলী ইদ ও আবদুল্লা তালেব। তিনজনকেই ম্যাচের আগে ঘুষ হিসেবে যৌনকর্মী সরবরাহ করে তুষ্ট করেছিলেন ডিং! পরে ওই তিন ম্যাচ অফিশিয়ালকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাদ পড়েননি মূল হোতা ডিংও। গত জুলাইয়ে ডিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিঙ্গাপুরের একটি নিম্ন আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের জেল দেন। বিষয়টি সেখানেই নিষ্পত্তি হয়নি, গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত। এবার সব শুনানি শেষে সিঙ্গাপুরের উচ্চ আদালত রায় দেন, ‘ডিংয়ের তিন বছরের জেল পর্যাপ্ত নয়।’ বিচারক চান সেং ওন বলেন, ‘ডিং যে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, তাদের জাল অনেক বড়।’ বিচারক আরও বলেন, ‘ঘুষের ধরন এবং যে খেলার জন্য ম্যাচ ফিক্সিং করা হয়েছিল, তাতে ডিংয়ের সাজা আরও কঠোর হওয়া উচিত৷’ আরও ১৮ মাস বাড়িয়ে মোট পাঁচ বছরের জেল হয়েছে ডিংয়ের।
এর আগে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রেফারি সাবাগের ছয় আর ইদ ও তালেবের তিন মাসের জেল হয়েছিল৷ ফুটবলের ইতিহাসে এই ঘটনাও এক কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে৷