মৌলভীবাজারে বিদ্রোহীদের ‘ধাক্কায়’ নৌকার ভরাডুবি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩২:১১,অপরাহ্ন ১৯ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক::
মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ৭ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন জয় লাভ করেছেন। আর একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির কারণ একটাই- বিদ্রোহ। বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার দেখা গেছে মৌলভীবাজারে।
উপজেলা নির্বাচনে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়নি। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আর ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পূর্বেও দুজনই নির্বাচিত হয়েছে। তাই এই উপজেলায় ভোটের আমেজ ছিল না।
তবে ভোটের লড়াই জমেছিল রাজনগর উপজেলায়। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হলেন আছকির খান। ফলের সমীকরণে তার অবস্থান ৩ এ নেমেছে। দলের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা মিছবাহুদ্দোজা (ভেলাই) আর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. শাহজাহান খান। শাহজাহান এবার বাজিমাত করেছেন। বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। যদিও ভোটের আগে তার পক্ষে জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়েছেন তৃতীয় অবস্থানে।
শ্রীমঙ্গলে আর কমলগঞ্জে বর্তমান দুই চেয়ারম্যান পুননির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন কমলগঞ্জে অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও শ্রীমঙ্গলে রণধির কুমার দেব। তারা উভয়েই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। বিদ্রোহীরা তাদের দমিয়ে রাখতে পারেননি।
তবে হাকালুকির দেশ কুলাউড়া, জুড়ি আর বড়লেখায় নৌকার ভরাডুবি। এই তিন উপজেলায় রয়েছেন একাধিক বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী। এখন ফলাফলের সমীকরণে অনেক আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর অবস্থান একেবারেই তৃতীয় অবস্থানে। কুলাউড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ একে এম শফি আহমদ সলমান (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসম কামরুল ইসলাম।
জুড়ীতে হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর লড়াই। যার করণে একেবারেই শূন্যে নেমেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গুলশান আরা মিলি। ভোটও পয়েছেন অল্প। শেষে দেবরের কাছে হার মানলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ মুহিদ ফারুক। ফারুক জুড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মুমীত আসুকের ছোট ভাই। তিনি হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যদিকে, মিলি আসুকের স্ত্রী।
বড়লেখা উপজেলায় আওয়ামীর লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সুয়েব আহমদ। তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য অনেক প্রচেষ্টা করেছেন। রাজপথে নেমেছেন কিন্তু পাননি। তাতে কী? দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিজয়ী হয়েছেন।