মোদির ‘ফলপ্রসূ’ সফর নিয়ে সরগরম ভারতীয় গণমাধ্যম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৪:৫৩,অপরাহ্ন ০৮ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদ্য সমাপ্ত ৩৬ ঘন্টার বাংলাদেশ সফর নিয়ে বেশ ফলাও করে খবর প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। ‘ঐতিহাসিক’ এ সফরকে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বেশ ‘উৎপাদনশীল’ এবং ‘ফলপ্রসূ’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এতে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করে পত্র-পত্রিকায় প্রথম পাতার শিরোনামে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে সম্পাদকীয় পাতাতেও লেখা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে। সদ্য সমাপ্ত এ সফরকে সম্পাদকীয় পাতাতে দ’দু’দেশের মধ্যে ‘আরও উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং সমস্যা সমাধানের প্রতিবেশিসুলভ নীতি’ এবং ‘গতিশীল নতুন সম্পর্ক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোদির বাংলাদেশ সফরে সম্পাদিত চুক্তি ও গৃহীত দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উভয় দেশকেই মূল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলেও স্পষ্ট করেছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।
‘নেতৃত্ব গ্রহণ’ শিরোনামের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সম্পাদকীয় পাতায় ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তিকে ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের কার্যকর অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বগুণেই আজ দুদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হতে চলেছে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের আপোষহীন নীতি এবং প্রতিবেশীদের প্রতি উদারনৈতিক মনোভাই দিল্লী এবং ঢাকার সম্পর্ক নির্ণয়ে বড় ধরণের প্রভাব ফেলেছে। সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত প্রয়াস এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে উদার প্রতিবেশ নীতির দিকে দিয়ে মোদির বাংলাদেশ সফরকে বেশ তাৎর্যপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে।
মোদির ফলপ্রসু সফরে এই আশাবাদ তৈরি হয়েছে যে উপমহাদেশের ‘বার্লিন ওয়ালের’ পতন ঘটতে যাচ্ছে-এমনটা উল্লেখ করে এছাড়া, টাইমস অব ইন্ডিয়ার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি (এলবিএ)’র ফলে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সমাধান হবে এবং ছিটমহলের বাসিন্দারা নাগরিকত্ব পাবেন।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ভারতীয় মালবাহী জাহাজ প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে দ্যা হিন্দুস্তান টাইমসের সম্পাদকীয়তে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় জাহাজ প্রথম সিঙ্গাপুর গিয়ে মালামাল খালাস করে তারপর বাংলাদেশে তা পাঠানো হয়। এটা করতে মোট ৪০ দিন সময় লাগতো। এখন চুক্তির ফলে তা করতে লাগবে কেবল ৭ দিন।