মেয়েকে যৌনপল্লীতে বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা খেলেন বাবা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩২:৫২,অপরাহ্ন ১৮ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: মাত্র ৩০ হাজার টাকার জন্য নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৩ বছর) যৌনপল্লীতে বিক্রির সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন পাষণ্ড বাবা এরশাদ আলী (৩৫)। এসময় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর শিল্পী (৩৫) নামে এক যৌনকর্মীকেও আটক করা হয়।
শনিবার (১৬ মার্চ) দিনগত রাতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওলিউর রহমান বাদী হয়ে মেয়েটির বাবা এরশাদ ও যৌনকর্মী শিল্পীর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার এরশাদ আলী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আজগর সোনার ছেলে ও যৌনকর্মী শিল্পী নীলফামারী জেলার ডোমরা উপজেলার চৌপটি গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, তার বাবা ও মায়ের মধ্যে কয়েক বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। বাবা ও মা দু’জনই আবার নতুন বিয়ে করে সংসার করছে। কখনো দাদির কাছে, কখনো ফুপুর কাছে আবার কখনো মায়ের কাছে থাকতো সে। এ পরিস্থিতিতে তার বাবা তাকে বলে, ‘তোমার খাওয়ার খরচ দিয়ে আমি তোমাকে ঢাকায় ভালো একটি জায়গায় রেখে দেবো, সেখানে তুমি ভালো থাকবে।’
বাবার কথায় রাজি হয়ে গত শনিবার সে বাবার সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু তার বাবা তাকে ঢাকা না নিয়ে সরাসরি দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে।
এরশাদ আলী জানান, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে যাতায়াতের সূত্র ধরে যৌনকর্মী শিল্পীর সঙ্গে পরিচয়। একটি মেয়ে এনে দিলে তাকে ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। এই ৩০ হাজার টাকার জন্যই মেয়েকে নিয়ে আসা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী বলেন, কিশোরী বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল শনিবার (১৬ মার্চ) দিনগত রাতে ছদ্মবেশে যৌনপল্লীতে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এসময় হাতেনাতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নির্ভরযোগ্য কোনো অভিভাবক না থাকায় আদালতের মাধ্যমে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি সেভ হোমে রাখার আবেদন করা হবে।