মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৭:২৮,অপরাহ্ন ২৩ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা শহরের যানজট সরাতে আসছে ঢাকা মেট্রোরেল। নগরবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প আর স্বপ্ন নয়। শুরু হয়েছে এ মহা প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ। নগরীতে যানজট নিরসনের জন্য এত বড় উদ্যোগ আগে কখনও নেওয়া হয়নি।
শনিবার মিরপুর পূরবী সিনেমা হলের পাশে সাইন বোর্ডে বড় করে লেখা ‘চলছে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ’। এখানে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজে নিয়োজিত। তারা প্রকল্পের মাটি পরীক্ষার কাজ করছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা গণপরিবহন সংস্থা। তবে মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের মাটি পরীক্ষার কাজ পেয়েছে ডেভেলপমেন্ট কন্সট্রাকশন লিমিটেড।
প্রকল্পের আওতায় উত্তরা-পল্লবী-মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর হয়ে খামারবাড়ি-ফার্মগেট- হোটেল সোনারগাঁও -শাহবাগ-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড ও বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মোট ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এতে করে উত্তরা থেকে একজন যাত্রী মিরপুর হয়ে মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় মাত্র ৪০ মিনিটে পৌঁছতে পারবেন।
একই সঙ্গে মিরপুরের পল্লবী স্টেশনেও মাটি পরীক্ষার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন নির্মাণ শ্রমিকেরা। মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের মধ্যে উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্ট্রাল স্টেশন, উত্তরা সাউথ স্টেশনের মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া পল্লবী স্টেশন ও মিরপুর পুরবী সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় কাজ চলমান।
ডেভেলপমেন্ট কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী নূরুল আমীন বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধেই মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর পর ডিজাইনের কাজ শুরু হবে। ডিজাইনের কাজ শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যাবে প্রকল্পের মূল কাজ।’
যাত্রীদের আনা নেওয়ার জন্য ১৬টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। স্টেশনগুলো হলো, উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্ট্রাল স্টেশন, উত্তরা সাউথ, পল্লবী স্টেশন, মিরপুর পূরবী সিনেমা হল, মিরপুর-১০ নাম্বার, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, জাতীয় যাদুঘর, বাংলা একাডেমী, ন্যাশনাল স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক স্টেশন। এসব স্টেশনে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।
অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমানে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে মূল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আমরা প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারলে উত্তরা থেকে একজন যাত্রী মিরপুর হয়ে নিরাপদে ৪০ মিনিটের মধ্যেই মতিঝিলে পৌঁছে যাবেন। ১৬টি স্টেশন থেকে প্রতিঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই।