মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েটির সোনালি চুলের শখ পূরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৮:৫৬,অপরাহ্ন ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: নাম অ্যাশান্তি স্মিথ। বয়স মাত্র ১১ বছর। দুরারোগ্য ব্যাধি হাচিনসন গিলফোর্ড প্রোগেরিয়া-য় ভুগছে সে। ডাক্তার বলে দিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্তেরা ১৫ বছরের বেশি বাঁচতে পারে না। সে কথা জানে অ্যাশান্তি নিজেও। কিন্তু তার যে বড় শখ, স্কুলের বান্ধবীদের সঙ্গে গোটা একটা দিন কাটানোর। তাও যে সে অবস্থায় নয়, একদম ডানাকাটা পরীর সাজে।
কারণ, তার স্কুলের বান্ধবীদের মাথায় একরাশ সোনালি চুল। আর তার নিজের মাথায়? চিকিৎসার জেরে মাথায় চুল নেই। এ অবস্থায় কী আর বান্ধবীদের সামনে যাওয়া যায়?
অ্যাশান্তির এই খবর সে দেশের টেলিভিশনের প্রচারিত হতেই সাড়া পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত অ্যাশান্তির শখ পূরণে এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মা ও বোনকে নিয়ে ব্রিংটন ব্রাঞ্চে যায় অ্যাশান্তি। সেখানকার এক নামী পার্লার থেকে নিজে পছন্দ করে নকল চুল(ইউগ) কেনে সে। পরে একটি ইতালিয় রেস্তোরাঁয় ডিনারও সারে সপরিবার।
সে কথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে বারবার চোখের পাতা ভিজে আসে তার মা ফোবি-র। তিনি বলেন, মেয়েকে এত উত্তেজিত হতে দেখিনি বহুদিন। ওর চোখে যেন ঘুমই আসছিল না।
ফোবি বলেন, ওর জীবনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। জীবনের শেষ নির্যাসটুকু আমার মেয়ে উপভোগ করতে চায়।
অ্যাশান্তির মা জানিয়েছেন, মাস দুয়েক আগে স্কুল থেকে মেয়েকে মাথায় নকল চুল লাগিয়ে আসতে বারণ করা হয়েছিল। কারণ, স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল, এভাবে স্কুলে গোলাপি রঙের পরচুলা পরে এলে, তা বাকি ছাত্রীদের নিজের চুলের দিকে অত্যাধিক সচেতন করে তুলবে। এই ঘটনার পর থেকেই আর স্কুলে যেতে চাইত না অ্যাশান্তি।