মুসলমান হামলা করলে সন্ত্রাস আর শেতাঙ্গ করলে গণহত্যা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪৫:২৪,অপরাহ্ন ১৬ মার্চ ২০১৯
বিনোদন ডেস্ক:: কোনো মুসলিম হামলা করে মানুষ হত্যা করলে একে প্রচার করা হয় ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে। অপরদিকে একজন খ্রিস্টান যখন মসজিদে মানুষ হত্যা করে, তখন পশ্চিমা গণমাধ্যম সেটিকে ‘গণহত্যা’ বলে প্রচার করে।নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে খ্রিস্টান বন্দুকধারীর নৃশংস হামলার ঘটনার পর পশ্চিমা গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে এভাবেই সমালোচনা করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী।
নিউজিল্যান্ডে ওই হামলার ঘটনায় ঝড়ে গেছে ৪৯টি তাজা প্রাণ। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮জন। নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর শেতাঙ্গ বন্দুকধারীর এ হামলা স্মরণকালের ইতিহাসে বর্বরোচিত। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটোসে ফারুকী লিখেছেন, ‘যখন একজন খ্রিস্টান #শ্বেতাঙ্গ অধিপত্যবাদী মসজিদে মানুষ হত্যা করে, তখন পশ্চিমা গণমাধ্যম সেটিকে ‘গণহত্যা’ বলে প্রচার করে। কিন্তু যখন কোনো মুসলিম হামলা করে এবং মানুষ হত্যা করে, তখন একে প্রচার করা হয় ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে।’
তিনি লিখেন, ‘প্রিয় পশ্চিমা মিডিয়া, আপনারা কবে এই দুটি বিষয়কেই সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দেবেন? আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনাদের এই পক্ষপাতিত্ব বিশ্বব্যাপী ঘৃণা বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে?’
এর পর তিনি বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লিখেন, ‘দেখে ভালো লাগছে কিছু পশ্চিমা মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতারা একে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলতে শুরু করেছে। যদিও তা কয়েক ঘণ্টা পরে! আর দেরি না করা উত্তম। অন্যদের তা অনুসরণ করা উচিত।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীদের এলোপাতারি গুলিতে ৪৯ জন মারা যান। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৮জন। এই সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তারা মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে এক পথচারীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফিরে আসেন। ফলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ক্রিকেটাররা।