মুজাহিদের আপিল শুনানি হচ্ছে না আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৮:২৯,অপরাহ্ন ১৪ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একাত্তরের বদর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিল শুনানি আজকের কার্যতালিকায় থাকলেও হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আদালত। তবে পরবর্তী কার্যতালিকায় আসলে এর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে বুধবারের কার্যতালিকায় মামলাটি রাখা হয়েছিল।
গত ৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এই দিন ঠিক করে দিয়েছিল।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে।
ওই বছরেরই ১১ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। মোট ৯৫ পৃষ্ঠার ১১৫টি গ্রাউন্ডে আপিল আবেদন করা হয়। মূল আবেদনের সঙ্গে ৩ হাজার ৮শ’ পৃষ্ঠার নথিপত্র সংযোগ করে জমা দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ সব অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। দ্বিতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি মুজাহিদকে এ দুই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অপরদিকে মুজাহিদের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তার ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর।
২০১২ সালের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৭টি ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দেখানো হয়।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।