মুক্তিপণে ছাড়া পেলেন যশোরের ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৩:৫৪,অপরাহ্ন ২২ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: মুক্তিপণের ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরল যশোরের ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা শংকর রায় ওরফে সুজল। অপহরণে ৪ দিন পর গতকাল রবিবার ভোররাতে সে কোটচাঁদপুরের বেনেপাড়ার বাসায় ফিরেছে।
ভুক্তভোগী শংকর রায় ওরফে সুজল জানান, প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল যশোরের আরোপপুর ব্র্যাক ব্যাংক ব্র্যাঞ্চ থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে যশোর মুর্তির মোড়ে আসে। সামনে বাস দেখে ওঠে পড়ি তাতে। এরপর খপ্পরে পড়ে ওই দুর্বৃত্তদের। তারা তাকে তড়িৎ করে চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। পরে মোবাইল ধরিয়ে দিয়ে বলেন বাড়ির লোকদের সাথে কথা বলে টাকার ব্যবস্থা করতে। এ ভাবে চলতে থাকে আমার ওপর অত্যাচার। গত শুক্রবার ও শনিবার সারাদিন কাটে ওই বাসের মধ্যে। এরপর তারা আমার পরিবারের কাছ থেকে কিছু টাকা পাওয়ার পর শনিবার রাতে আমাকে ছেড়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তারা প্রথম যশোর ও পরে যশোর ছেড়ে দেয়ার কথা বললেও আমাকে ছেড়ে দেন মাগুরার একটা প্রত্যন্ত বাজারে। তখন রাত ১২ কি ১টা বাজে। আমাকে ছেড়ে দিয়েই তারা গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর আমি সামনে দেখতে পায় একটা বাজার। ওখান থেকে আমি ট্র্যাকে করে কালীগঞ্জ আসি। এর আগে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিই আমার মুক্তি পাওয়ার কথা। পরিবারের লোকজন আমাকে কালীগঞ্জ থেকে মাইক্রোযোগে গতকাল রবিবার ভোররাতে বাড়িতে নিয়ে আসে।
সুজল বলেন, সব মিলিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা ভুল করে আমাকে অপহরণ করেছিল। তারা আমাকে বলেছিল যে, আমার মতো একটা ছেলে ব্যাগ ভর্তি ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সুজল রায় কোটচাঁদপুর পৌর সভাধীন বেনেপাড়ার ঠাকুর দাস রায়ের ছেলে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো ঃ শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, সুজলের বাড়ি ফেরার কথা পরিবারের লোকজন আমাকে জানিয়ে ছিল। এরপর আমি সুজলকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। আর বিকাশের টাকা দেয়ার কথা বললে তিনি জানান, তার ছেলের বিকাশ নাম্বারেই টাকা দেয়া হয়েছে। এতে করে ধরার কিছু নাই।