মিল্কি হত্যা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৬ জানুয়ারি
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৯:২৪,অপরাহ্ন ১৭ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত এ দিন ধার্য করেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন না আসায় আদালত ৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
এ বছরের ৯ জুন মামলার বাদী মিল্কির ছোট ভাই রাশেদ হক খান নারাজি আবেদন জমা দেন। তবে ওইদিন মামলার মূল নথি না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া শুনানির জন্য ১৭ জুন দিন ধার্য করেন। একই দিন নারাজি আবেদনটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজিতে বলা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেননি। আরো বলা হয়, একটি প্রভাবশালী মহলের চক্রান্তে মূল আসামিদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
নারাজিতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম টিপু, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, মো. আহকামুল্লাহ, আমিনুল ইশান বাবু, মাহবুবুর হক হিরক, এনামুল হক ও মাসুদ উদ্দিন আহমেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে পুনঃতদন্তের আবেদন জানানো হয়। এ ছাড়া মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিতে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়।
বাদীর দাবি, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে মিল্কি হত্যার মূল আসামিদের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ১১ আসামি হলেন- সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, মো. জাহাঙ্গীর মণ্ডল, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মামুন, চুন্নু মিয়া, আরিফ, ইব্রাহীম খলিল, রফিকুল ইসলাম ও শরীফুদ্দিন চৌধুরী।
গত বছরের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এজাহারভুক্ত ১১ জন ও অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।