মায়ের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি ছেলের
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩২:০১,অপরাহ্ন ১৭ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
মায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু তদন্ত করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপের দাবি জানালেন ছেলে। রাজধানীর কদমতলীতে এ হত্যাকা- ঘটেছে। নিহতের নাম আনোয়ারা বেগম।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এই দাবি জানালেন ছেলে সোহেল রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তার বড় চাচা হাজী আব্দুর রশীদ ও মামা ওমর ফারুক।
প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ১৯ অক্টোবর রোববার কদমতলী থানা এলাকার জনতাবাগের ১৭৩৭ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় (জননী ভিলা) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় আনোয়ারা বেগম মনিকে (৫০)। তার স্বামী জয়নাল আবেদীন সৌদি প্রবাসী ও একমাত্র ছেলে সোহেল লন্ডনে থাকায় তাকে ওই বাড়িতে একাই থাকতে হতো। ঘটনার দিন তিনি ওই বাসায় একা ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে। দুর্বৃত্তরা বাসার ভেতরে ঢুকে ওয়্যার ড্রপ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে সোহেল রানা জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২০ অক্টোবর জয়নাল আবেদীন সৌদি থেকে দেশে এসে ওই দিন রাতেই কদমতলী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৩৫, ২০/১০/২০১৪)। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই সালেহ আহমেদ ওই ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেন ও তদন্ত শুরু করেন। এ সময় সন্দেহজনক তথ্য দেয়ার কারণে ওই দিনই ওই বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড খোকন ভান্ডারিকে আটক করেন। এরপর তাকে ছেড়ে দিয়ে দুই দিন পর তাকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে আনা হয়। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনা উদ্ঘাটনে থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা প্রদান করে আসছিলো। এ ঘটনার প্রথম দিকে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা ছিলো। কিন্তু এর কিছুদিন পর থেকে পুলিশের তৎপরতায় ভাটা পড়ে। তাদের আচরণ রহস্যজনক মনে হতে থাকে। যা আমাদেরকে শংকিত করে তুলছে। এরই মধ্যে প্রায় এক মাস পার হলেও পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু খুঁজে বের করতে পারেনি। যা ওই পরিবারের সদস্যদের গভীর হতাশায় নিমজ্জিত করেছে।
বাড়ির দারোয়ানকে আটক করার পর সে পুলিশকে জানিয়েছে, দুই জন অপরিচিত ব্যক্তি ৩টায় ওই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায় ৬ষ্ঠ তলার ভাড়াটিয়া ইলিয়াস সাহেবের বাসায় যাচ্ছি বলে জানায়। পরে ইলিয়াস সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান ওই দুজন ব্যক্তি তার বাসায় যায়নি।
তিনি আরো জানান, তার প্রবাসী পিতা জয়নাল আবেদীন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন। তাদের সাথে কোনো ধরণের বিরোধ নেই। তবে অপরিচিত কেউ ওই বাসায় প্রবেশ করতে পারতো না। পরিচিতরাই তার মা আনোয়ারা বেগম মনিকে হত্যা করেছে।