মান্নার সঙ্গে ফোনালাপকারী আটক!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৮:০৩,অপরাহ্ন ০৩ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় নিয়ে ফোনালাপকারী সেই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার পুরো নাম মশিউর রহমান মামুন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না তার আলোচিত ফোনালাপে যে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তির সঙ্গে ‘বিশেষ বাহিনী’র সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে স্পর্শকাতর কথা বলেছিলেন, মামুন সেই ব্যক্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন বলে সূত্র দাবি করছে। তবে তাকে আটক করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীল কেউ স্বীকার করেননি।
সূত্র জানায়, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভাইবারে ফোনালাপের সময় উল্লিখিত মামুন রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থান করছিলেন।
এমন তথ্য জানার পর গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত হয় যে, এই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় ধানমণ্ডি ১৪/এ এলাকায় অবস্থান করেন। এরপর সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি এর আগের এক সপ্তাহ ধরে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন তা জানার উদ্যোগ নেয়া হয়। একই সঙ্গে তার সার্বিক কর্মকাণ্ড নজরদারির মধ্যে আনা হয়।
তারপর সন্দেহভাজন মামুন আগের এক সপ্তাহ ধরে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তা জানতে তৎপর হয় গোয়েন্দা সংস্থা। একইসঙ্গে তার সার্বিক কর্মকাণ্ডও নজরদারির আওতায় আনে।
এই তৎপরতারই এক পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট টিম নিশ্চিত হয়, মামুন লন্ডন প্রবাসী ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকের যোগাযোগ রয়েছে।
এরই এক পর্যায়ে মামুনকে আটক করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, মান্নার সঙ্গে ফোনালাপের মাত্র এক সপ্তাহ আগে দেশে আসেন মামুন। লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ রাখছিলেন। এর মধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাও রয়েছেন।
জানা গেছে, এই মশিউর রহমান মামুন ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়ে একজন প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সে সময় ওই কর্মকর্তার প্রভাবে তিনি বিভিন্ন সরকারি অফিসে দাপটের সঙ্গে ছড়ি ঘুরাতেন। তাকে দেখলে অনেকে গ্রেফতার আতংকে ভুগতেন। দু’বছর মেয়াদি ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিদায় হলে তিনি পাততাড়ি গোটানো শুরু করেন।
তাকে শেলটার দেয়া প্রভাবশালী কর্মকর্তার মতো তিনিও বিদেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে সক্ষম হন।
সূত্র জানায়, ওয়ান-ইলেভেনের সময় নানা উপায়ে উপার্জন করা বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যে তিনি একক মালিকানায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ব্যবসায় লগ্নি করা টাকা তিনি হুন্ডিতে নিয়ে যান। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার উপরতলার মানুষের সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগের নানা মাধ্যমও গড়ে ওঠে।
সূত্র বলছে, এ রকম একটি মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে তার পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর