মাদক তরুণ সমাজকে আক্রান্ত করেছে: নাসিম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৬:৩৪,অপরাহ্ন ২৮ নভেম্বর ২০১৪
নিউচ ডেস্ক::
মাদক তরুণ সমাজকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, তামাক বিরোধী প্রচারণায় যে পরিমাণ ব্যয় করা হয় তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ব্যয় করা হয় তামাক সেবনে উৎসাহিত করার জন্য। ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য সরকার সব ধরণের কাজ করবে।
শুক্রবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা হেড এ- নেক ক্যান্সার কনফারেন্স-২০১৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য দেশের বড় বড় জেলা শহর হাসপাতালগুলোতে ‘ক্যান্সার ইউনিট’ করা হবে। অর্থ প্রাপ্তির সাপেক্ষে সেই হাসপাতালগুলোতে লিনিয়ার এক্সেলেটার কোভাল্ট মেশিন স্থাপন করা হবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান বিশ্বে ক্যান্সার অত্যন্ত গুরুতর আকার ধারণ করেছে। তামাক আমাদের দেশে এক সময় অনেক ব্যবহার হতো। এখন অনেকটাই কমে গেছে। শুধু তামাক নয়, জলবায়ুসহ অনেকগুলো উপাদান ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত। আমরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
ক্যান্সার নিরাময়ে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোন সরকার, কোন দেশে এককভাবে কাজ করতে পারে না। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা চাই।
বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের উদ্দেশ্যে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, আপনারা সুন্দর ভবন নির্মাণ করেছেন। কিন্তু চার্জ অনেক বেশি নেন। একটু চার্জ কমান। যে দ্ররিদ্র্য মানুষেরা চিকিৎসা নিতে আসে তারা আপনাদেরই স্বজন। ধনীদের কাছ থেকে নেন। কিন্তু মানবতার দিকে তাকিয়ে গরীবদের জন্য চার্জ কমিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোগে এত গার্মেন্টস, এত শিল্প হয়। আপনাদের বলবো স্বাস্থ্যসেবায় আপনারা এগিয়ে আসুন। আমরা বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে চাই।
কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিককে ফিনিস পাখির সঙ্গে তুলনা করে নাসিম বলেন, হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশ সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরস্কার অর্জন করবে। প্রতি ৬০০০ মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ২৭ লাখ মানুষ এই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। ৩০ ধরণের অসুধ ফ্রি পাচ্ছে মানুষ।
পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। স্বাস্থ্য খাতে সবাই সবাইকে সহযোগিতা করা উচিত। আমরা যারা রাজনীতি করি জনগণের সেবা করার জন্য করি। তাই স্বাস্থ্য খাত হচ্ছে জনগণকে সেবা করার সবচেয়ে বড় খাত।
বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি, থাইল্যা-, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, কানাডা-এই ১০টি দেশের প্রতিনিধি নিয়ে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে হেড এ- নেক এনকলোজি গ্রুপ।
কনফারেন্স চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।