ভ্যালেন্টাইনস ডেতে প্রেমিক-প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখলেই বিয়ে!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৩:০২,অপরাহ্ন ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভ্যালেন্টাইনস ডেতে কোনো প্রেমিক-প্রেমিকাকে গোলাপ ফুল হাতে দেখা গেলে কিংবা কোনো পার্কে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গেলেই তাদের সমাজের নিয়ম মেনে বিয়ে দেয়া হবে। যদি প্রেমিক ও প্রেমিকা এক ধর্মের বা গোত্রের না হন, তবে তাদের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
আর ১০ দিন পরেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। তার আগেই নড়েচড়ে বসল ভারতের পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হিন্দু মহাসভা।
তাদের ঘোষণা, এইদিন প্রণয়ী যুগলরা একসঙ্গে এ দিবস উদযাপন করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে। এই ধরনের পশ্চিমা প্রথা জনসমক্ষে উদযাপন করা ভারতের মতো দেশে শোভা পায় না। তাই এই নিদের্শ হিন্দু মহাসভার।
একটি সংবাদমাধ্যমকে মহাসভার সভাপতি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক জানিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে বছরের ৩৬৫ দিনই ভালবাসার দিন। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করার প্রয়োজন কী?
আমরা ভালবাসার বিপক্ষে নই, কিন্তু যারা একে অপরকে ভালবাসে বলে দাবি করে তাদের অবিলম্বে বিয়ে করা উচিত। যদি তারা আমাদের বলেন যে ভাবার জন্য সময় প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই তাদের একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা উচিত নয়। এটা চোখে ধরা পড়লে আমরা ওদের অভিভাবকদেরও বিষয়টা জানাবো।
দশ দিন আগে থেকেই বিয়ে নিয়ে ধন্দে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের খুঁজে বের করার জন্য পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন দল নিযুক্ত করেছে হিন্দু মহাসভা।
এই গোষ্ঠীর আগ্রার প্রতিনিধি মহেশ চন্দনা জানালেন, যদি ভারতের সকল মানুষ হিন্দু হতেন তাহলে আমরা অসবর্ণ বিয়ে মেনে নিতাম। কিন্তু তা যেহেতু নয়, তাই প্রেমীযুগলকে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
তবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই বছর ভ্যালেন্টাইনস ডেতে জোর করে বিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকছে বজরঙ্গ দল।
অন্যদিকে, হিন্দু মহাসভার মিরাটের প্রতিনিধি পন্ডিত অশোক শর্মা জানিয়েছেন যেইসব হিন্দুরা অন্য ধর্মের প্রতি সহৃদয় তাদের ঘর ওয়াপসি প্রয়োজন। যাতে তারা অন্য কোনো ধর্মের অস্তিত্বই না স্বীকার করে। বুধবার চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক মিরাটে গিয়ে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।