ভূমিকম্পে নেপালে নিহত ৩৬, ভারতে ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৫:৪৯,অপরাহ্ন ১২ মে ২০১৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মঙ্গলবার আধা ঘণ্টার ব্যবধানে নেপালে আবারো দু’টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে সর্বশেষ ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত এক হাজার ১১৭ জন।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে ভারতের বিহার রাজ্যে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তরে সিন্ধুপালচক জেলার চৌতারা এলাকাতেই চারজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ১২টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এরপর বেলা ১টায় অপর ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯।
প্রথম ভূমিকম্পটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮৩ কিলোমিটার পূর্বে চীন সীমান্তের কাছে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সাড়ে ১৮ কিলোমিটার গভীরে। যা এভারেস্ট পর্বতের নিকটবর্তী শহর নামচি বাজার থেকে ৬৮ কিলোমিটার পশ্চিমে।
গত ২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে এবং ১০ কিলোমিটার গভীরে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল নেপালের কোদারি এলাকায়।
এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১২টা ৩৬ মিনিট এবং ১টা ৯ মিনিটে দুটি কম্পন অনুভূত হয়। যার প্রভাব পড়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এতে বিহারের আনন্দ বাজার এলাকায় একটি ভবন ধসে একজন মারা গেছেন।
এছাড়া বাইশালী জেলার মহুয়ায় একটি মেয়ে শিশু দৌঁড়ে পালানোর সময় মারা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাকী নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল কাঠমান্ডুতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। এতে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল নেপালে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ভারতে আঘাত হানলে বিহারে ৩০ জনের বেশি লোক মারা যায়। এছাড়া ওই ভূমিকম্পে চীনের তিব্বত ও বাংলাদেশেও বেশ কয়েকজন মারা যান।