ভুতুরে পরিবেশে বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন কোকোর দুই মেয়ে
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২০:৫১,অপরাহ্ন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান দাদীর সাথে বিনিন্দ্র রাত কাটালেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ১৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এসেছে। শনিবার রাত ১০টা ১২মিনিটে কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ওই কার্যালয়ের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর গুলশান কার্যালয়ের ডিস ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায় প্রায় একই সময়ে। এতে কার্যালয়ের মধ্যে বাইরের সকল সংবাদ পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়। টেলিফোন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশনের ডিশলাইন এখনও চালু হয়নি।
দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করেছেন খালেদা জিয়াসহ আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তাঁদের দুই মেয়ে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, প্রেস উইংয়ের সদস্য শাইরুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ। এর বাইরে সেখানে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের সদস্য ও কার্যালয়ের কর্মচারীরাও ছিলেন।
গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেনারেটর দিয়ে জ্বালিয়ে রাখা কার্যালয়ে ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় খালেদা জিয়া টিভি দেখতে পারেননি সারাদিন। কোন খোঁজখবর রাখতে পারেননি তিনি। দুপুরে খাওয়ার পর খালেদা জিয়ার কাছে কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান টিভি দেখতে চান। তাদের এ দাবি পূরণ করতে না পেরে আফসোস করেন খালেদা জিয়া। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শনিবার রাতে অন্ধকার হয়ে যায় গুলশান কার্যালয়টি। এক ভুতুরে পরিবেশে কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান বারবার আঁতকে ওঠে। এত অল্প বয়সে এরকম পরিস্থিতি প্রথমবারের মত মোকাবেলা করেছে তারা।
এবিষয়ে খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল সোহেল বলেন, রাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া কিশোরী দুই নাতনিকে নিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে কার্যালয়ের ফ্যাক্স মেশিন ছিল অকার্যকর। মোবাইল সেটগুলোও চার্জ দিতে না পেরে প্রায় অচল হয়ে ছিল। ভেতরের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ ছিল প্রায় বিচ্ছিন্ন।
উল্লেখ্য, আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান মালয়েশিয়া থেকে বাবার লাশ নিয়ে আসার পর দাদির সঙ্গেই থাকছেন। পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই ভাইয়ের স্ত্রী পালাক্রমে কার্যালয়ে যান।