ভিপি তালিকা থেকে মান্নার নাম মুছে দিল ছাত্রলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২০:৩৭,অপরাহ্ন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপিদের তালিকার নামফলক থেকে দুই বারের নির্বাচিত ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় ডাকসুর কার্যালয়ে টাঙানো মান্নার ছবি বাইরে নিয়ে এসে পুড়িয়ে দেয় তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দীর নেতৃত্বে ডাকসু সংগ্রহশালায় থাকা অনার বোর্ড থেকে প্রথমে মান্নার নাম মুছে ফেলা হয়। পরে সেখানে টানানো তার ছবিটি খুলে নিয়ে ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতারা।
ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জীবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মান্নাকে দেখামাত্র গণধোলাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সনদপত্র বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছিল ছাত্রলীগ।
প্রসঙ্গত, রোববার ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপের অডিও টেপ ফাঁস হয়। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ওই টেপে দুই নেতাকে বিশদ কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে আন্দোলন বেগবান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা ঘটানো ও লাশ ফেলার বিষয়ে খোকাকে পরামর্শ দেন মান্না।এই অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এক সময়ের বামধারার ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আশির দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। তখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পদ হারান মান্না।এরপর নাগরিক ঐক্য নামে একটি দল গঠন করেন নিজেই।