ভারতীয় নাটকের আগ্রাসন,কী বলতে চাইছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি?
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৮:১৮,অপরাহ্ন ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪
বিনোদন ডেস্ক::
বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের প্রভাব বলে শেষ করা যাবে না। খবরের কাগজ খুঁজলে প্রতিদিনই শোনা যায় এইসব নাটকের প্রভাবে অনেক তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক নারীরা আত্মহত্যাসহ খুনের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আর এই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি এমন একটি প্রতিবেদন দর্শকের সামনে তুলে ধরে যা কিছুটা হলেও দর্শকের মনে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। তবে চলুন দেখে নিই সেই প্রতিবেদনটির কিছু অংশ।
প্রতিবেদনের শুরুতেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু শিরোনাম তুলে ধরা হয়। যার সবগুলোই ছিল পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ঘর ভাঙ্গা, আত্মহত্যা এমনকি হত্যা পর্যন্ত নানান খবর। তার মধ্যে একটি শিরোনাম ছিল, ভারতীয় একটি চ্যানেলের সিরিয়াল দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র বিবাদে দু’জনই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তবে এর ভিন্নতাও যে রয়েছে তা দেখাতে হানিফ সকেত দর্শককে নিয়ে যান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা গ্রামে। এই গ্রামে ১০২ বছর বয়স্ক আব্দুর রহমানের পরিবারটি কি সুন্দর একান্নবর্তী পরিবারভূক্ত হয়ে আছেন।
এই পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৪০ জন। পরিবারের আয়ের উৎস মৎস্য ব্যবসা। এই যৌথ পরিবারটিতে বিভিন্ন বয়সের শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ থাকলেও এদের মধ্যে কোন ঝগড়া, বিবাদ, কলহ-দাঙ্গা নেই। এরা সবাই মিলেমিশে থাকেন। এদের বাড়িতে রান্না হয় এক হাঁড়িতে। সবাই খানও একই সাথে।
খাবার দৃশ্য দেখলে যে কারো মনে হতে পারে এটি কোন মেজবান বা গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর দৃশ্য। কারণ ১৫০ হাত লম্বা বারান্দায় বসে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খান। ‘ইত্যাদি’র প্রতিবেদনে পরিবারের সদস্যরা জানালেন-তাদের সম্পূর্ণ আয় তুলে দেয়া হয় মায়ের হাতে। যার যখন যা প্রয়োজন মা’র হাত থেকেই নেন। ৫ ভাই পরিবারের ৫টি দায়িত্ব পালন করেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে এই পরিবারের এই প্রজন্মের ক’জন সদস্য বললেন- “এসব বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। কারণ এ ধারায় চলতে থাকলে এসব চ্যানেলের কু-প্রভাবে একসময় হয়তো এদেশে আর যৌথ পরিবারই থাকবে না। তাই তারা এইসব চ্যানেল দেখেন না।