ভাটি বাংলার ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার আহবান সুরঞ্জিতের
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৩:০৬,অপরাহ্ন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূরণ প্রমাণ করেছে, ভাটিবাংলা শুধু শিল্প-সংস্কৃতিতে নয়-শিক্ষায়ও অনেক আগে থেকে আলোকিত ছিল। ঐতিহ্যের এ স্মারকটির শতবর্ষ পূর্তি উৎসব হবে দিরাই-শাল্লা সহ পুরো ভাটি এলাকার সকল মানুষের প্রাণের উৎসব। এই দু দিনব্যাপী আয়োজন এলাকায় শিক্ষা বিকাশের ধারাকে আরো বেগবান করবে। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার রাতে দিরাই উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলতাব উদ্দিন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, সদস্য সচিব সব্যসাচী দাস চয়ন, দিরাই ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমান্ডার আতাউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম, ব্যবসায়ী নেতা সিরাজুদ্দৌলা, সাবেক যুগ্ম সচিব ডা, উমর খৈয়াম, জেলার নেছার আলম মুকুল, সংগঠক বোরহান উদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক আল-আজাদ ও হাবিবুর রহমান তালুকদার, রাজনীতিবিদ মজম্মিল হোসেন, প্রদীপ রায়, শ্রমিক নেতা শামীম রশিদ চৌধুরী প্রমুখ।
সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তি নিয়ে ওই এলাকার মানুষ অবশ্যই গর্ব করতে পারে।
তিনি বলেন, শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধেও দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় গৌরবোজ্জ্বল অবদান রেখেছে। নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানাতে এ শতবর্ষ পূর্তি উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সভায় ২৮ ও ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, আগামী ৭ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এরপর আর কেউ নিবন্ধিত হবার সুযোগ পাবেন না।