ব্যারিস্টার সুমনের ২২ তম ব্রিজ:বিদ্যালয়ে যেতে আর ভিজতে হবেনা শিশুদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১০:৪৯,অপরাহ্ন ০৬ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: একে একে একুশটি ব্রিজের পর ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবার বানালেন ২২তম কাঠের ব্রিজ। এই ব্রিজটি বানানোয় শিশুরা পেলো না ভিজে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুবিধা। এর আগে খালের পানিতে ভিজে ভিজে স্কুল যেতে হতো।
নিজের অর্থায়নে তৈরি কাঠের ব্রিজের উপর স্কুল পড়ুয়া শিশুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সুমন।তিনি বলেন, ৫৭ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে এই ব্রিজটি করায় দুই দিকের অন্তত ১০ টি গ্রামের শিশুদের সুবিধা হয়েছে।
ব্রিজটি তিনি করেছেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট উপজেলার ৮ নং ষাটিয়াজুড়ির আলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে।তিনি বলেন, এই মানুষগুলো ভাবতেন, একটা ব্রিজ বানতে মনে হয় অনেক টাকা লাগে। অনেক সরকারি তদবির লাগে। আসলে কিছুই লাগে না। আমরা যারা নিজের একটু প্রতিষ্ঠিত, তারা একটু চেষ্টা করলেই এই ব্রিজ বানিয়ে দিতে পারি।
খালের পানি ভেঙ্গে এক শিশুর যাওয়ার দৃশ্য দেখিয়ে তিনি বলেন, দেখেন তারা এভাবেই পানি দিয়ে ভিজে ভিজে স্কুলে যেতো। এখন আর তাদের ভিজে ভিজে যাওয়া লাগবে না।
সোহান নামের আরেক শিশুর কাছে তিনি জানতে চান, যখন এই ব্রিজ ছিলো না, তখন সে কিভাবে স্কুলে আসতো। শিশুটি উত্তর দেয় পানিতে ভিজে ভিজে আসতো।তাতে তাদের খুব কষ্ট হতো। তবে যখন খালে পানি একটু বাড়তো, তখন আর স্কুলে যাওয়া হতো না।
একটি ব্রিজ করে এই সব শিশুদের স্কুলে যাওয়া সুবিধা করে দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। সোহানকে দেখিয়ে তিনি আরো বলেন, এই দেখেন নাক পরিস্কার না, চুল পরিস্কার না, ও কি আমাদের বাংলাদেশের ছেলে না? ওকে পরিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের কি টাকা পয়সা নেই মনে করেন? আছে।
একটু থেমে বলেন, আমাদের স্বভাব নষ্ট। আমি না হয় পাগলের মত ২২টা ব্রিজ বানিয়েছি, আপনারা একটা ব্রিজ বানান। আপনার তো আমার চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ। অনেক বেশি বাংলাদেশেকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটা যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচেছ চলেন আমরা তাকে সহযোগিতা করি, আমাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করি। সরকার সরকারের জায়গা থেকে কাজ করুক আমার আমাদের জায়গা থেকে কাজ করি।