বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে সুইডেন
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩৮:৫২,অপরাহ্ন ২২ নভেম্বর ২০১৪
সুইডেন: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলায় সুইডেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে-এ মর্মে দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেছেন সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন। আগামী ২৪-২৭ নভেম্বর ২০১৪-এ ইসাবেলা লোভিনের নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ গোলাম সারোয়ারকে সুইডেনের এ অবস্থান অবহিত করেন। এ বৈঠকে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার সুইডিশ মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান। রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক ঘোষিত “ভিশন-২০২১” এর নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এ ছাড়াও তিনি বর্তমান সরকার কর্তৃক ঘোষিত “ভিশন-২০৪১” সম্পর্কে আলোকপাত করেন। গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড-এ সুইডেন এর ৫৮০ মিলিয়ন মাঃডঃ এর ঘোষিত উন্নয়ন সহায়তার কথা উল্লেখপূর্বক সুইডিশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু-নাজুক দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং সুইডিশ সরকার জলবায়ুজনিত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে। জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবেলায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল দেশের জন্য আইনতঃ প্রতিপালনীয় একটি বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হবার বাংলাদেশী দাবীর প্রতি রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার সুইডেনের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ২১তম জলবায়ু সম্মেলনে এই মর্মে বাংলাদেশের সাথে সুইডেন একযোগে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে সুইডিশ সরকার বাংলাদেশের জন্য আগামী ৭ বছর মেয়াদে ২২০ মিলিয়ন মাঃ ডঃ-এর দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহায়তা ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রভৃতি ক্ষেত্রসমূহের পাশাপাশি দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহায়তা বহুমুখীকরনের প্রয়োজনীয়তা আলোকপাত করে তথ্য-প্রযু্ক্তি, জাহাজ-নির্মান ও পরিবেশ-বান্ধব জাহাজ-ভাঙা শিল্প অন্তর্ভূক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনগোষ্ঠির ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন যা দুদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানান। মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের সাথে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ সফর নতুন মাত্রা যোগ করবে।
০৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন কর্তৃক সরকার গঠনের পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন-এর এটিই প্রথম বিদেশ সফর, যা সুইডেনের নতুন সরকারের বৈদেশিক নীতিমালায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নির্দেশ করে। আরো উল্লেখ্য যে, আগামী ২৫-২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে চারজন সুইডিশ সংসদ সদস্যসহ সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব ও চ্যান্সারি প্রধান মো. কামরুজ্জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।