বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৮:২৪,অপরাহ্ন ২৩ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বাল্যবিবাহ কমানোর যুক্তি দিয়ে মেয়েশিশুদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ তে নামিয়ে আনার যে প্রস্তাব নিয়ে গত আট মাস ধরে তর্ক চলছিলো তা থেকে বেরিয়ে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বললেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ই থাকবে।
মঙ্গলবার গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত বিবাহিত শিশুর ক্ষমতায়নে একটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহের কারণে আমাদের সমাজে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ধরনের বিয়ে বন্ধ করতে না পারলে, আইন করে কোনও লাভ হবে না। তাই এ সমস্যা রোধ করতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সচিব এলা দে ভুগড ইনপুট সেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রধান সুলতানা কামাল, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার মারটিন ভান হুগস্ট্রাটেন, রেড অরেঞ্জের মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, একই গ্রামে অনেক এনজিও একই বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তাতে করে অন্যান্য এলাকায় আমাদের কার্যক্রম পৌঁছায় না। তাই সবার সমন্বয়ে বাংলাদেশের সব এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধ করতে সমন্বিত কর্মসূচি নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল চেষ্টার পরেও বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুর বিয়ে হচ্ছে- এটাও বাস্তব। যে শিশুদের ইতোমধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে তাদের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও প্রজনন স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বস্থ্যের উন্নয়নে সরকার প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি হাসপাতাল স্থাপন করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় গড় বাল্যবিবাহের হার ৪৮ শতাংশ। এ হার সারা বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে এ হার ৬৪ শতাংশ। এদেশে ২০-২৪ বয়সী নারীদের প্রতি ৩ জনের মধ্যে অন্তত একজনের বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগেই।
উল্লেখ্য ইমেজ নেদারল্যান্ডসের অর্থায়নে যৌথভাবে টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ডস ও রেড ওরেঞ্জের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ও নীলফামারী -এ তিন জেলায় মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবে টেরে ডেস হোমস লোসান, এস কে এস ফাউন্ডেশন এবং পল্লীশ্রী।