বিসিএস আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৫:০৭,অপরাহ্ন ০৯ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন এমসি কলেজের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে আজ মঙ্গলবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও এমসি কলেজের অধ্যক্ষ’র মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
স্মারকলিপিতে তারা জানিয়েছেন, গত ৩১ মে ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের ২০১৩ সালের সকল লিখিত পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না।
কলেজের ইংরেজী বিভাগের (২০০৯-১০ বর্ষ) শিক্ষার্থী দিব্যেন্দু মিটুন জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে এমনিতেই আমাদের অতিরিক্ত ২ থেকে ৩টি বছর জীবন থেকে চলে যায়। চলতি বছর আমাদের অনার্স শেষ হবে। আশা করেছিলাম এবার দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্খিত নিয়োগ পরীক্ষা বিসিএস-এ অংশ গ্রহণ করতে পারব। কিন্তু বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা হতাশ হয়েছি।
একই কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র ফাহিম চৌধুরী জানান, মাত্র একমাসের জন্য আমরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। সেশনজটে ৩ বছর চলে যাওয়ার পর আরো ১ বছর বিসিএস পরীক্ষা দিতে না পারলে চাকুরী পাবার বয়স আর কতদিন থাকবে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
রয়াসন বিভাগের সিদ্ধার্থ শেখর ঘোষ জানান, অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আগামী ২৭ আগস্ট সকল বিভাগের পরীক্ষা শেষ হবে। কিন্তু বিসিএস এর আবেদন দাখিলের শেষ তারিখের মধ্যে সকল লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার শর্ত থাকায় আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী বিসিএস এ অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না।
ইংরেজী বিভাগের শর্মিষ্ঠা তালুকদার জানান, প্রায় ১ বছর ধরে বিসিএস এর প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করি। আমাদের কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী বিসিএস এ অংশ নেওয়ার আকাঙ্খা নিয়ে লেখাপড়া করছে। মাত্র কয়েকদিনের জন্য এ সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে, যা মেধাবীদের হতাশ ও লেখাপড়ায় অমনযোগী করবে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় আনবেন বলে আশা শর্মিষ্ঠার।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দীন আহমদের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগীয় কমিশনার স্মারকলিপি গ্রহণ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ও তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পরে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্মারকলিপি নিয়ে যান। জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে এএসপি (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। বেলা দেড়টার দিকে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ’র কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম চৌধুরী, দিব্যেন্দু মিটুন, সিদ্ধার্থ শেখর ঘোষ, জয়াশীষ লিটন, আব্দুল করিম, খালিকুর রহমান, মৃদুল কান্তি দাস, বাবলু আহমেদ প্রমুখ।